মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র স্বাক্ষর জালিয়াতি

বরিশাল প্রতিনিধিঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি, এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র স্বাক্ষর ও সুপারিশ জাল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ মে আগৈলঝাড়া জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির জেলা সভাপতি ও বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় উপজেলার সুজনকাঠী গ্রামের আ.খালেক তালুকদারের ছেলে ও হিজলা উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আনিচুজ্জামান তালুকদার ওরফে লেলিন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র ভুয়া সুপারিশ ও স্বাক্ষর জাল করে তিন মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে কাগজ পত্র দাখিল করে। এসময় এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ নিজের স্বাক্ষর জাল দেখে ভুয়া বলে চিহিৃত করেন। বিষয়টি টের পেয়ে ওই সভা থেকে আনিচুজ্জামান ওরফে লেলিন তালুকদারসহ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা পালিয়ে যায়। এসময় এমপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য-সচিব গাজী তারিক সালমানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নিদের্শ দেন। ভুয়া কাগপত্রের মধ্যে রয়েছে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র, সাবেক গৈলা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ.কাদের সরদারে নাম ব্যবহার করে ভুয়া সনদ, এছাড়াও বিভিন্ন কমান্ডারের ভুয়া সনদ দাখিল করেন। আবেদনের উপরিভাগে এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ভূয়া সুপারিশ লিখে উপস্থাপন করে, যা এমপি তার নিজের লেখা নয় বলে জানান। লেলিন তালুকদারের মাধ্যমে যারা যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে কাগজপত্র দাখিল করে ভুয়া হিসেবে চিহিৃত হয়েছেন উপজেলার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেন তালুকদারের ছেলে শহিদ তালুকদার, পূর্বসুজনকাঠী গ্রামের মৃত ইসমাইল সরদারের মেয়ে মোসা. মমতাজ বেগম ও পশ্চিম গোয়াইল গ্রামের মৃত.ইয়াসিন সিকদারের ছেলে সেকেন্দার আলী শিকদার। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য-সচিব গাজী তারিক সালমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগৈলঝাড়া থানায় ভুয়া কাগজপত্র তৈরী ও স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নং-৫ (১৮-৫-২০১৭)। এব্যাপারে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আ.সালাম সাংবাদিকদের জানান, মামলার আসামীদের গ্রেফতারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই লেলিন তালুকদারের বিরুদ্ধে অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানোর অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত লেলিন তালুকদারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।