মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৮ হাজার ফ্ল্যাট

অনলাইন ডেস্ক: সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৮ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে সরকার। এ লক্ষ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২ হাজার ২৭৩ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় ‘প্রতি উপজেলায় অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পসহ মোট ৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৪৬৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৭ হাজার ২৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে ৪৪০ কোটি টাকা।

সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্প সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা সকলেই বয়োজ্যেষ্ঠ এবং উপার্জনক্ষম না হওয়ায় তাদের পক্ষে ভাড়া, খরিদ বা এককালীন অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় তৈরি হবে বহুতল আবাসিক ভবন। নির্মাণ করা হবে মোট ৮ হাজার ফ্ল্যাট।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দুই ইউনিটবিশিষ্ট ২৬৪টি এবং চার ইউনিটবিশিষ্ট ২৬৮টি অর্থাৎ মোট ৫৩২টি ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ইউনিট বা ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ৯৮২ বর্গফুট। এতে ৩টি বেড রুম, ১টি ড্রইং-কাম ডাইনিং রুম, ২টি বাথরুমসহ বারান্দা থাকবে। তবে যেসব জেলা বা উপজেলায় ৩ বা ততোধিক ভবনের প্রয়োজন হবে সেখানে আবাসন কমপ্লেক্স নির্মাণ করে অন্যান্য সুবিধাদি যেমন- অভ্যন্তরীণ সড়ক, লাইটিং ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি জানান, মূল খাস জমির ওপর ভবনগুলো নির্মাণ করা হবে। তবে যেসব উপজেলায় খাস জমি পাওয়া না যায় সেখানে জমি অধিগ্রহণ করা হবে। চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।
একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্ল্যাট দেওয়ার জন্য সুস্পষ্ট নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন বলে মুস্তফা কামাল জানান। মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর সন্তানদের মধ্যে ফ্ল্যাটের উত্তরাধিকার নির্ধারণে এ নীতিমালা অনুসরণ করা হবে।

অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হচ্ছে- ‘জলবায়ু সহিঞ্চু অবকাঠামো প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রকল্পে’র খরচ ধরা হয়েছে ৬৬২ কোটি টাকা। সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি (সিভিসি) প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩০১ কোটি টাকা। গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৬৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বিমানবন্দর বাইপাস ইন্টারসেকশন-লালবাগ-সালুটিকর- কোম্পানীগঞ্জ- ভোলাগঞ্জ সড়ককে জাতীয় মহাসড়ককে উন্নীতকরণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬২৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ নতুন ১২-তলা ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৮ কোটি ৪ লাখ টাকা।