মুক্তিপণে ফিরলেন অপহৃত দুই বাংলাদেশি

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
নাফ নদ থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি দুই জেলেকে মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশকে (বিজিপি) মুক্তিপণের দাবিকৃত টাকা দিয়ে ফিরেন তারা।

সোমবার মুক্তিপণ দিয়ে ওই দুই জেলের ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. মুজিবুর রহমান।

দুই জেলে হলেন, টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়া এলাকার মোহাম্মদ লালুর ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ার (২৮) ও মোহাম্মদ শফির ছেলে আক্তার হোসেন (২৯)।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. মুজিবুর রহমান জানান, গত শনিবার রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার হেচ্ছারখালের বিপরীতে নাফ নদ থেকে ওই জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার পর বিজিপি মুক্তিপণ দাবি করে।

তিনি আরও জানান, রোববার রাতে নৌকার মালিক চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা মো. হাসান আলী মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে মুক্তিপণের দাবিকৃত ১ লাখ টাকা পরিশোধ করলে অপহৃত জেলেদের ছেড়ে দেয়।

গত শনিবার রাতে নাফনদীতে মাছ ধরার সময় নৌকাসহ ওই দুই জেলেকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায় বিজিপি। এরপর থেকে তাদের ছেড়ে দেয়ার জন্য মুক্তিপণ দাবি করে বিজিপি। তবে নৌকাটি নাফ নদে বাংলাদেশের জলসীমানা অতিক্রম করে মাছ শিকার করছিল বলে জানায় তারা।

২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে টেকনাফে পৌরসভা জালিয়াপাড়া সংলগ্ন নাফনদীতে মাছ ধরার সময় দুই নৌকাসহ ছয় জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যায় বিজিপি।

পরে তাদের ছেড়ে দিতে মুক্তিপণ দাবি করে। তারা সকলে টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা। পরে একই দিন রাতে মুক্তিপণের দাবি দেড় লাখ টাকা (মিয়ানমার ২১ লাখ কিয়েত) দিয়ে ফিরে আসেন মোহাম্মদ হোসেন, মোহাম্মদ ফারুক, আবদুল করিম ও মোহাম্মদ সাদেক। তবে আরও দুই জেলেকে মুক্তিপণ দাবি টাকা না দেয়ায় ফেরত দেয়নি বিজিপি।

কিন্তু বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) দাবি করছিল মিয়ানমার বিজিপির সঙ্গে যোগাযোগ করে এ চারজেলকে ফেরত আনা হয়। তারা বাংলাদেশ জলসীমানায় অতিক্রম করে মিয়ানমার মাছ শিকারে গিয়েছিল। তাই তাদের ফিরিয়ে এনে জলসীমানা অতিক্রমের অভিযোগে মামলার দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
রোববার রাতের বিষয়ে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল ছিদ্দিকী বলেন, মুক্তিপণের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এর আগে গত বছর আরও ১৭ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে যায় বিজিপি। তাদের এখনও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।