নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাংবাদিকদের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করে মামলা সচল করা সংক্রান্ত দুদকের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে মামলায় জারি করা রুল নিষ্পত্তি করার জন্য বলেছেন আদালত।
এই আদেশের ফলে মির্জা আব্বাসের মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন সগির হোসেন লিয়ন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর এই মামলার কার্যক্রমের উপর হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেন।
২০০৬ সালে তৎকালীন গৃহায়ণ প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরের হস্তক্ষেপে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের একটি সংগঠনকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে রাজধানীর মিরপুর ৮ নম্বরে সাত একরের একটি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। এই অভিযোগে ২০১৪ সালের ৬ মার্চ শাহবাগ থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মামলায় চার আসামি হলেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যাবস্থাপনা) আজহারুল হক, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ক্যাশিয়ার মো. মনুসর আলম ও হিসাব সহকারী মতিয়ার রহমান।
আজহারুল হককে বাদ দিয়ে এবং মির্জা আব্বাস ও বিজন কান্তি সরকারের নাম অন্তর্ভুক্ত করে গত বছর ১২ জানুয়ারি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান।
গত ২০ অক্টোবর মির্জা আব্বাসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪।