নিজস্ব প্রতিবেদক:
সেনা বিদ্রোহে উসকানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তারের ২১ মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. জাহাঙ্গীর কবির জানান, জামিন আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে ২০১৫ সালের শুরু থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের টানা অবরোধ-হরতালে সহিংসতায় প্রাণহানির মধ্যে সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানান মান্না। সংলাপ না হলে আবারও ‘ওয়ান ইলেভেনের’ কথা বলে আলোচিত হন তিনি।
এর পরপরই বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির সঙ্গে মান্নার টেলিফোনে কথা বলার দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ হয়।
এতে মান্নাকে ওই পরিস্থিতিতে সেনা হস্তক্ষেপের উদ্যোগে আগ্রহ প্রকাশ করতে শোনা যায়। পাশাপাশি বিএনপি জোটের আন্দোলন জোরদারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘লাশ ফেলার’ কথাও বলতে শোনা যায় তাকে।
এই প্রেক্ষাপটে ওই বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি মান্নাকে আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে সেনা বিদ্রোহে উসকানি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়।
তখন থেকে কারাবন্দি মান্নাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৫ ডিসেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে কেরাণীগঞ্জে আনা হয়।
উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতার জন্য কয়েক দফায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
পরে গত ২৮ নভেম্বর দুই মামলায়ই মান্নাকে জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট।