মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইমামিতে মাশরাফিদের জুমার নামাজ আদায়

ক্রীড়া ডেস্ক:

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের আগে একদিন বিরতি। তার আগের দিনটা শুক্রবার। এদিন আবার জুমার নামাজ। বাংলাদেশ দলের অনেকেই নামাজি। জুমার নামাজ পড়তে স্থানীয় একটি মসজিদে গেলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। কিন্তু সেখানে ইমাম ছিলেন না। তাহলে নামাজ পড়াবে কে? এসময় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হয়ে গেলেন ইমাম। তার পেছনেই সবাই দাঁড়িয়ে গেলেন নামাজে।
বাংলাদেশ দলের টিম হোটেল ট্রেইলওয়েজের কাছেই অবস্থিত মসজিদটি। স্থানীয় মসজিদে জুমার নামাজে শুক্রবার খুব বেশি লোকজন ছিল না। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার ও সাংবাদিকই ছিল বেশি। কিন্তু জুমার নামাজের সময় কোনো কারণে ওই মসজিদের ইমাম ছিলেন অনুপস্থিত। এ সময় মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি বলেন,‘আপনাদের মধ্য থেকে কী কেউ ইমামতি করতে পারবেন?’ মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ নামাজ পড়াতে রাজি হলেন, কিন্তু খুতবা মুখস্ত ছিল না। ঠিক এ সময় তামিম ইকবাল এগিয়ে এসে নেট থেকে বের করে ফেললেন জুমার নামাজের দুই খুতবা এবং সেটা ডাউনলোডও করে নিলেন।
মোবাইল হাতেই মেহরাবে দাঁড়িয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আরবিতে দুই খুতবা পাঠ করেন তিনি। নেলসনের স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজের ইমামতি করলেন মাহমুদউল্লাহ। এই অলরাউন্ডারের ইমামতিতে নামাজ আদায় করলেন সবাই।
প্রসঙ্গত, মাহমুদউল্লার টিম বাংলাদেশে ইমামতি করার ঘটনাটা নতুন কিছু নয়। তবে মসজিদে ইমামতির অভিজ্ঞতা এই প্রথম। তাও বিদেশে! আর তা জুমার জামাতের! নিউজিল্যান্ডেও দেখা গেছে অনুশীলনের ফাঁকে নামাজের সময় হলে খেলোয়াড়রা সবাই মাহমুদউল্লাহর পেছনে দাঁড়িয়ে গেছেন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক ভাবা হচ্ছে যাকে আধ্যাত্মিক দিক দিয়েও সেই মাহমুদউল্লাহ আগে থেকেই দলের ‘লিডার’ হয়ে আছেন যেন!