মালয়েশিয়া পাচার কালে ১৯ রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ২

কক্সবাজার সংবাদদাতা

সাগর পথে আবারো অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের চেষ্টা চালাচ্ছে চিহ্নিত দালালরা। এর মধ্যে মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ শিশু সহ ১৯ জন মিয়ানমারের নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় আটক করা হয়েছে ২ দালালকেও।
মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনা এলাকার বুলবুলি নামের এক নারী বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।
এতে আটক দালালরা হল, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনা এলাকার মো. তৈয়ূবের স্ত্রী বুলবুলি (৩৫), একই এলাকার মুক্তার আহমদের পুত্র মো. খলিল প্রকাশ ইসমাইল (৩৬)।
টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়ি পুলিশ এ অভিযান চালায়। অভিযানে উদ্ধার হওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের তথ্য মতে ৪ জন দালাল মিলে ১০ হাজার টাকা করে নিয়ে তাদের ট্রালর যোগে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা ছিল। এ অভিযানে ২ দালাল আটক হলেও ২ জন পালাতক রয়েছে। ৪ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। পালাতক ২ দালাল হল, একই এলাকার মুক্তার আহমদের পুত্র আবুল হোসেন (৪২) ও শামশুল আলমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৬)।
উল্লেখ, গত ২০১৫ সালের আগে সাগরপথে ব্যাপকহারে মানবপাচার হয়েছিল। ২০১৫ সালের মে মাসে এসে থাইল্যান্ডে দফায় দফায় গণকবরের সন্ধানে টনকনড়ে আন্তর্জাতিক মহলে। এরপর অভিযান শুরু হলে গত ২ বছর ধরে বাংলাদেশে সাগরপথে মানবপাচার বন্ধ হয়। কিন্তু দুই বছর পরে আবারও এ তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। পুলিশ বলছে, কোনভাবে সীমান্ত দিয়ে মানবপাচার হতে না পারে তার জন্য সজাগ রয়েছে।