মানিক সরকার ও মমতা ব্যানার্জি ভারতের সবচেয়ে দরিদ্র মুখ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারতের দুটি রাজ্যের ২ জন বাঙালি মুখ্যমন্ত্রীই সবচেয়ে দরিদ্র। তাদের মধ্যে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সবচেয়ে দরিদ্র মুখ্যমন্ত্রী। আর পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অবস্থান তার পর পরই। দেশটির অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস ও ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ’র একটি প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। আগে থেকেই খুব সাদামাটা জীবনযাপনের জন্যই পরিচিত তিনি। এই প্রতিবেদনে তারই প্রমাণ আবারও পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ২৯টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সম্পত্তি ও মামলা নিয়ে ওই সংস্থাটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানেই উঠে আসে ভারতের মুখ্যমন্ত্রীদের অবস্থা-অবস্থান। এই প্রতিবেদনে মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে মমতার অবস্থান দ্বিতীয়। তার সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ লাখ রুপি।
ওই তালিকা অনুযায়ী দেশটির সবচেয়ে ধনী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন- অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু। তার সম্পত্তির পরিমাণ ১৭৭ কোটি রুপি। আর ২৬ লাখ রুপি সম্পত্তির মালিক ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সবচেয়ে দরিদ্র মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে ওই তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সম্পত্তির পরিমাণ ৫৫ লাখ রুপি।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ৩১ জনের মধ্যে ২৫ জনই কোটিপতি। আর ২ জনের সম্পত্তি শতকোটির ওপর। সেখানে বলা হয়েছে, এই মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে ১১ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে। আর মামলার সংখ্যার দিক দিয়ে শীর্ষে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তার বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে। ২ নম্বরে আছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তার মামলার সংখ্যা ১১টি। আর দুর্নীতিবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে দিল্লিতে ক্ষমতায় আসা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আছে ১০টি মামলা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। আর শিক্ষাগত যোগ্যতায় সবচেয়ে এগিয়ে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং। তার ডক্টরেট ডিগ্রি রয়েছে। আর ৩৯ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রীর স্নাতক ডিগ্রি আছে বলেও প্রতিবেদনে উঠে আসে।