অনলাইন ডেস্ক: খুলনার পাইকগাছায় মানব পাচার মামলায় দুই বছরের শিশু অমৃতকে কারাগারে যেতে হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার দক্ষিণ কুমখালী নিজ বাড়ি থেকে বাবা-মার সঙ্গে শিশুটিকে থানায় নিয়ে আসে পাইকগাছা থানা পুলিশ।
পরে বুধবার দুপুর ১টার দিকে বাবা-মাসহ শিশুটিকে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক গাজী জামসেদুল হক বাবা-মাসহ শিশুটিকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার দক্ষিণ কুমখালী সমরেশ ঢালীর পরিবারের সঙ্গে ভারতে রাজমিস্ত্রির কাজ করার সময় পরিচয় হয় সাতক্ষীরার আশাশুনির সাগরের। সে সুবাদে তাদের বাড়িতে সাগরের আসা-যাওয়া। এ সুযোগে পার্শ্ববর্তী সুশান্ত ঢালীর মেয়ে প্রমার সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর প্রমা ও সাগর নিখোঁজ হয়। ওই দিনই প্রমার বাবা সুশান্ত ঢালী বাদী হয়ে সাগরকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামে পাইকগাছা থানায় একটি মানব পাচার মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১০।
এ মামলায় পুলিশ গত মঙ্গলবার গভীর রাতে তাদের নিজ বাড়ি থেকে সমরেশ ঢালী (৩৫), স্ত্রী লতিকা ঢালীকে (২৮) গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় তাদের দুই বছরের শিশুকে কোথাও রাখার সুযোগ না থাকায় তাকেও নিয়ে আসা হয় থানাহাজতে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য অশেষ জানান, প্রমার সঙ্গে সাগরের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে বলে এলাকায় জানাজানি হয়। পরে তারা পালিয়ে যায়। মামলাটি যে ধারায় হয়েছে তা একেবারেই মিথ্যা।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে পাইকগাছা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, শিশুটিকে অন্য হেফাজতে রাখা সম্ভব না হওয়ায় তার মায়ের সঙ্গে তাকেও আনা হয়েছে।