পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কাকড়াবুনিয়া গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে অন্যের জমিতে মাদরাসার নামে জমি দখল করে ঘর উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা। উপজেলার পশ্চিম কাকড়াবুনিয়া গ্রামের একই বাড়ির আমজেদ মেলকার ও খলিল মেলকারের মধ্য দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। এই ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষের বাকবিতণ্ডা হয় এবং এক পর্যায়ে মারামারি হয়। এতে আমজেদ মেলকাররা খলিল মেলকারসহ আটজনের বিরুদ্ধে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে গ্রেফতারের ভয়ে তারা আত্মগোপনে থাকে। এ সুযোগ নিয়ে আমজেদ মেলকারের ছেলে মোশারেফ হোসেন, কবির হোসেন ও ছিদ্দিক মেলকারের নেতৃত্বে কতিপয় লোকজন আদালতের চলমান মামলা উপেক্ষা করে জোরপূর্বক মাদরাসার নামে ঘর উত্তোলন করছে।
জানা যায়, আমজেদ মেলকারের ছেলে মোশারেফ হোসেন কুয়েত প্রবাসী থাকাবস্থায় নিজ গ্রামে পশ্চিম কাকড়াবুনিয়া হাফিজিয়া দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা (১৯৯৯) দেখিয়ে মাদরাসার নামে ভবন নির্মাণ, ছাত্রাবাস, হেফজখানা, মসজিদ সংস্কার, শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ৭৫ জন এতিমের ভরণ পোষণ ও আটজন শিক্ষকের বেতনসহ এককালীন ৪০ হাজার কুয়েতি দিনার (বাংলাদেশি টাকার প্রায় ১ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা) অনুদান পায় এবং প্রতি মাসে মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন এবং এতিমদের খোরাকী বাবদ ১২ লক্ষাধিক টাকা কুয়েতি সংস্থা GLOBAL TRANSLATION CENTER কুয়েত থেকে অনুদান পায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাদরাসার নামে একটি টিনসেড ঘর আছে কিন্তু সেখানে কোন এতিম নেই, ছাত্র নেই, শিক্ষক নেই। এ মাদরাসায় কুয়েতি সংস্থাকে ২’শ জন ছাত্রছাত্রী এবং ৭৫ জন এতিম ও মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত একাডেমিক পড়ালেখা দেখানো হয় এবং মাধ্যমিক স্তরের মাদরাসা দেখানো হলেও মাদরাসার কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।