মাদকাসক্ত ছিলেন হিটলার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাৎসি নেতা ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলার ভয়াবহ মাদকাসক্ত ছিলেন। কয়েক হাজার আফিম ইনজেকশন নেয়ার কারণে তার দেহের অধিকাংশ ধমনী নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। মাদকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে হিটলারে খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের সংখ্যা বাড়ছিল, যার পরিণতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।পুরষ্কারপ্রাপ্ত জার্মান লেখক নরম্যান ওহলের নতুন একটি বই থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ‘ব্লিতজেড : ড্রাগস ইন নাৎসি জার্মানি’ নামক বইটিতে বলা হয়েছে হেরোইনের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি ইকোডেল নামক মাদক ব্যবহার করতেন হিটলার। ১৯৪৪ সালে স্নায়ুবৈকল্যের ওষুধ হিসেবে এটি ব্যবহৃত হতো।ওহলের তার এই তথ্যের জন্য হিটলারের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. থিও মোরেলের লেখা উদ্ধৃত  করেছেন। মোরেল একসময় অভিযোগ করেছিলেন, তার রোগীর (হিটলারের) দেহের অধিকাংশ ধমনী দুর্বল হয়ে পড়ায় তিনি আর তাকে ইনজেকশন দিতে পারছেন না।মোরেল লিখেছিলেন, ‘ আগের ছিদ্রটি যাতে বন্ধ হয়ে যায় সেজন্য আজ আমি ইনজেকশন দেওয়া বাতিল করেছি। বাম হাতের কনুইয়ের অবস্থা ভালো। তবে বাম হাতের যেখানে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল সে স্থানটিতে এখনো লাল দাগ রয়ে গেছে।’ওহলের লিখেছেন, ১৯৪৪ সালে একটি হামলা থেকে বেঁচে যান হিটলার। হিটলারকে হত্যার ওই মিশনটির নাম ছিল ‘অপারেশন ভাল্কিরাই’। হিটলারকে হত্যার জন্য তার ডেস্কের নিচে একটি ব্রিফকেসে বোমা রাখা হয়েছিল। কাঠের টেবিলটির কারণে কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন হিটলার। কিন্তু বিস্ফোরণের কারণে তার দুটি কনুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল । এ ঘটনার পর স্নায়ুবৈকল্যে ভুগতে শুরু করেন হিটলার এবং মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন।ওহলের বলেন, ‘১৯৪৪ সালের পর হিটলার একটি দিনও স্বস্তিতে কাটাতে পারেননি। এর আগে তিনি অনেক সাধারণভাবে চলাফেরা করতেন।’