ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামে তমা খাতুন (১৮) নামে এক যুবতী বিয়ের দাবীতে দুই দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রেমিক জহুরুল ইসলাম বাড়ি থেকে চম্পট দিয়েছেন। তমা চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ গ্রামের নওশের আলীর কন্যা। ইতিপুর্বে তার বিয়ে হলেও প্রথম স্বামীর বাড়িতে তিনি যাননি। গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, মহেশপুরের কানাইডাঙ্গা গ্রামের শরীফুল ইসলামের ছেলে জহুরুল ইসলামের সাথে তমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে কারণে প্রেমিকা তমা বেশ কয়েকবার জহুরুলকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু জহুরুল নানা অজুহাতে বিয়ের বিষয়টি এগিয়ে যায়।
গত সোমবার সকালের দিকে তমা বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিক জহুরুলের বাড়িতে ওঠে। এ নিয়ে গ্রামে শোরগোল পড়ে যায়। এদিকে গাঁ ঢাকা দেয় প্রেমিক জহুরুল। স্থানীয় মাতুব্বররা মেয়েটিকে বুঝিয়ে সুজিয়ে বাপের বাড়িতে পাঠানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। প্রেমিক জহুরুলের পিতা শরীফুল ইসলাম জানান, মেয়েটি হঠাৎ করেই আমার বাড়িতে এসে উঠেছে। অথচ দুই দিন ধরে আমার ছেলে বাড়িতে নেই। তিনি জানান, যদি আমার ছেলে তাকে বিয়ে করতে রাজি হয় তাহলে পরিবারিক ভাবে আমরা মেনে নেব।
এবিষয়ে স্থানীয় ফতেপুর ইউনিয়নের মেম্বর জহুরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংশার চেষ্টা করা হচ্ছে। কানাইডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মহিউদ্দীন জানান, তমা নামে একটি মেয়ে বিয়ের দাবীতে শরীফুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান করছে। মেয়েটির এর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। মহেশপুর থানার এসআই মতলেবুর রহমানের জানান, আমি স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি।