ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে র্যালি ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অন্যায় অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন থেকে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করে বিজয় ছিনিয়ে আনার নাটক অনুষ্টিত হয়। (১৬ ডিসেঃ) শুক্রবার দুপুর ১২টায় ঝিনাইদহ সৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতি বছর বিজয়ের মাস ডিসেম্বর এলেই জাতি যেমন আনন্দে উদ্বেলিত হয়, তেমনি শোকে মুহ্যমান হয়ে স্মরণ করে শহীদদের। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন র্যালি ও নাটক কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৪৫ বছর আগে দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে স্বাধীনতাকামী অদম্য বাঙালিদের কাছে। অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।
তালিকা করে তারা একে একে হত্যা করে দেশের খ্যাতিমান শিক্ষক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের। শেষ পর্যন্ত ডিসেম্বরেই পর্যুদস্ত হয় হানাদার বাহিনী। রচিত হয় নতুন ইতিহাস। ১৬ ডিসেম্বর বিকালে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলার আকাশে উদিত হয় নতুন সূর্য।
১৯৭১ সাল। বাঙালি জাতির কাছে এক বিস্ময়ের নাম। বিশ্ব রাজনীতির এক অবর্ণনীয় ইতিহাস। এর প্রতিটি ক্ষণ যেন ধ্বংস আর সৃষ্টির একেকটি পান্ডুলিপি। ১৯৭১ সালে আগুনের লেলিহান শিখায় যখন গোটা পূর্ব পাকিস্তান পুড়ে ছাই হচ্ছিল, ঠিক তখনই নতুনের কেতন উড়িয়ে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি ভূখন্ড জন্ম নেয়। ৭১ সালের ডিসেম্বরের প্রতি মুহূর্ত যেন ‘বাংলাদেশ’ সৃষ্টির কথা বলে।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে দীর্ঘ ২৩ বছরের শোষণ বঞ্চনা আর অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে ৯ মাস যুদ্ধ করে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয় দামাল বাঙালি। মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাস ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও ডিসেম্বরে এসে পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শেষ করে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে তৎপর হয়।