অনলাইন ডেস্ক : ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ ঘোষণার রায় স্থগিত করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। অর্থাৎ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের এক আবেদনের শুনানি করে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা ১৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। চেম্বার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে গত বৃহস্পতিবার ওই রায় দেয় বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাই কোর্ট বেঞ্চ। ৩টি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১১ ও ২০১২ সালে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্টে একসঙ্গে ওই রায় আসে। ওই রায় স্থগিতের জন্য রোববার চেম্বার আদালতে আবেদন করার পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেছিলেন, আসলে ২০০৯ সালে আইনটি হওয়ার পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যকারিতায় সমাজে এক ধরনের ডিমান্ড তৈরি হয়েছে।
সাজু বলেছিলেন, ভেজাল, নকলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে মানুষের এক ধরনের আস্থা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া বাল্যবিবাহ রোধ, নকলমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভূমিকা ইতিবাচক। ফলে জনস্বার্থ বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষ হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সামনেই রোজা, এরপর ঈদ। বরাবরই রোজা, ঈদ সামনে রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালত সারাদেশে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এখন যদি ভ্রাম্যমাণ আদালতের এসব অভিযান না থাকে তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।