মাহাবুুবুর রহমান: কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে এখন চলাচল করা বড় দায়। খুব ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যখনই যখনই প্রধান সড়ক দিয়ে যেতে চাইলে বাধ্যতা মূলক পড়তে হবে যানযটে। এতে সাধারণ মানুষ খুবই বিরক্ত এতে একদিকে সময় অন্য দিকে আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে সাধারন মানুষ। তাদের দাবী কয়েকটি নির্দিস্ট স্থানেই বাধে যানযট এর কারনেই গুরু প্রধান সড়কে সব সময় যানযট থাকে। এ সব স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করলে মানুষ অনেকটা যানযট থেকে মুক্তি পাবে।
কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ি আরিফুল ইসলাম বলেন আমি প্রতি দিন বাসা থেকে থানার পেছন রোড়ে আসা যাওয়া করি যখনই প্রধান সড়ক দিয়ে যাই তখনি যানযটের মুখোমুখি হই। খুব ভোরে আসলেও যে অবস্থা আবার গভীর রাতে গেলেও একই অবস্থা যানযটে রিক্সা আটকাবেই। এতে প্রায় আধাঘন্টা কখনো ১ ঘন্টাও দেরী হয়ে যায়। এতে সময় এবং আর্থিক ভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি আমরা। শহরের যানযট নিরসনে মাঝে মধ্যে কিছু কথা বার্তা শুনলেও সেটা ১ বা ২ দিনের মধ্যে আবারো বন্ধ হয়ে যায় আসলে। পেশকার পাড়া এলাকার রাশেদুল আলম নামের এক স্কুল শিক্ষক বলেন আমি সকালে অনেক কস্ট করে স্কুলে চলে গেলেও আমার ছেলেকে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে দিয়েছিলাম পরে আমার স্ত্রীর প্রতিদিন যানযটে পড়ে স্কুলে হয়তো বাচ্চা দিয়ে আসতে দেরী হয়ে যায় না হয় স্কুল থেকে নিতে আসতে দেরী হয়ে যায় এর ফলে আমি বাচ্চার স্কুলেই বদলে ফেলেছি।
এদিকে শহরের প্রধান সড়কের যানযট নিরশনে কয়েকটি স্থানের দিকে বিশেষ নজর দিলে অনেকটা যানযট কম করা যাবে বলে জানিয়ে আইনজীবি আবু ছিদ্দিক ওসমানী বলেন প্রথম পয়েন্ট বার্মিজ মার্কেট বাঙ্গালী বাবু দোকানের সামনে সেখানে ৪ টি রাস্তা দিয়ে প্রতিযোগিতা মূলত ভাবে গাড়ী এসে যানযট সৃস্টি করে। সেটা পরে স্থায়ী হয়ে যায়। এর পরে বাজারঘাটার রাস্তার ২ পাশে যে সিএনজি গুলো দাড়িয়ে থাকে সেগুলো যদি বন্ধ করে দেওয়া যায় তাহলে যানযট অনেকটা কমে যাবে। সে সব সিএনজি গুলোকে বিকল্প কোন স্থানে দাড়নোর এবং নির্দিস্ট সময় দাড়ানো এবং সময় হলে আসা এ ধরনের যদি ব্যবস্থা করা যায় তাহলে ভাল হয়।
ব্যাংক কর্মকর্তা এম জাহেদ উল্লাহ বলেন প্রতিদিন ঠিক সময়ে ব্যংকে আসতে বাসা থেকে ৪০/৫০ সময় নিয়ে বের হতে হয়। অথচ ঠিক মত রিক্সা দিয়ে আসলে ১০ মিনিটের পথ। আমরা বা ছেলে মানুষ হিসাবে দেরীর অবস্থা দেখে হেটে চলে আসতে পারি কিন্তু মেয়েরা কি করবে ? তাদের অবস্থা খুবই সুচনিয় হয়ে পড়ে যানযটে পড়ে। আমার মতে প্রধান সড়কের কয়েকটি পয়েন্টে বিশেষ নজরদারী করলে যানযট অনেকটা কমে যাবে। তাছাড়া শহরের বেশ কয়েকটি রোড় প্রভাবশালীদের দখলে যেমন গত কাল আমি বার্মিজ মাকের্ট পয়েন্টে যানযট হলে এড, ছালামত উল্লাহ সড়ক দিয়ে আসতে চাইলে সেখানেও দেশি পুরু রাস্তা দখল করে রেখেছে কয়েক টি ভেন গাড়ী যে গুলো বিভিন্ন প্রসাধনী কোম্পানীর সেল্সম্যানরা ব্যবহার করে। আবার সন্ধ্যার রোগী নিয়ে বিকেপাল সড়ক দিয়ে আসার সময় দেখি পুরু রাস্তা নির্মান সামগ্রী দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। একটি রিক্সা চলতে পারছে না। আর বড় বাজার রাস্তার কথা ন্ াবা বল্লাম।
একই বিষয়ে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ নুরুল আলম বলেন প্রধান সড়ক থেকে যানযট কমাতে হলে প্রথমে বিকল্প সড়ক গুলো আরো সচল করতে হবে। আর সর্বপরি কক্সবাজারতো এখন টমটমের শহর এত টমটম অন্যকোন ছোট শহরে আসে কিনা সন্ধেহ। টমটম গুলো যততত্র দাড়িয়ে যায় যে যেখানে নামতে চাই তাকে সেখানেই নামিয়ে দেওয়ার জন্য গাড়ী দাড় করায় এর ফলে যানযট বাড়ছে আমার মতে টমটম চালকদের জন্য দাড়ানো নির্দিস্ট স্থান থাকা দরকার। যাতে সেই নির্দিস্ট স্থান ছাড়া অন্য কোথাও যাতে না দাড়ায়।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাফিক সার্জন বলেন চাইলে সব কিছু সম্ভব কিন্তু ইচ্চা থাকলেও উপায় নেই। বাজার ঘাটায় রাস্তার উপর দাড়ানো সিএনজি গুলো সরানোর জন্য আমরা বল্লেও কিছু রাজনৈতিক নেতৃবৃদ্ব সেটা চায় না। এমন কি রাতের বেলা ছাড়া সেখানে পন্য উঠা নামা না করার জন্য আমরা চেস্টা করি কিন্তু কিছু প্রভাবশালী লোক আছে যারা কথা শুনেনা আমরা চাইলেও তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নিতে পারি না। তাছাড়া পৌরসভা কার্যালয় হতে লালদীঘি পর্যন্ত কিছু হকার রাস্তার বেশির ভাগ অংশ দখল করে আছে তাদের কারনে যানযট আরো বেশি হচ্ছে তাদের উচ্ছেদ করতে চাইলে সেখানে ক্ষমতাশীন দলেও নেতারা বাধা দেয় শহরটাতো আমার না, তাদের শহর তারা যদি না বুঝে আমরা কি করবো। শুনেছি সে সব হকার থেকে মাসিক ভাড়া নেয় তারা। সব দোষ আসলে আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া উচিত হবে না। বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে ? আর শহরের বেশির ভাগ উপ সড়ক গুলোও বেদখল হয়ে আছে কোন সদক দিয়ে ২ টি সিএনজি ক্্রস করতে পারে না। আর বড় বাজারের রোড় তো আরো অসুবিধা এসব দেখার দায়িত্ব যাদের তারা যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা কি করবো।
ভোর থেকে গভীর রাতেও থাকে যানযট ঃ কারো কি কিছু করার নেই ?
