ভারত থেকে ‘নৃত্যবালিকা’ ফেরত চায় পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে থাকা বহুমূল্য ঐতিহাসিক ‘নৃত্যবালিকা’ ফেরত চেয়েছে পাকিস্তান।মহেঞ্জদারো সভ্যতার নিদর্শন ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য নৃত্যবালিকা। ১৯২৬ সালে খননের সময় উদ্ধার হয় মহেঞ্জদারোর সভ্যতার এ ভাস্কর্য। মহেঞ্জদারো এখন পাকিস্তানের অংশ। সে হিসেবে পাকিস্তান দাবি করছে, এটি তাদের সম্পদ।সোমবার পাকিস্তানের লাহোর হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করা হয়েছে। আদালত যেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারকে নৃত্যবালিকা ভাস্কর্যটি ফেরত আনতে নির্দেশনা দেয়, সে মর্মে রিট করা হয়েছে।ব্যারিস্টার জাভেদ জাফরি আদালতকে সুয়ো মোটে নোটিশ জারি করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি জানান, ভারতের ন্যাশনাল আর্টস কাউন্সিলের অনুরোধে প্রায় ৬০ বছর আগে লাহোর জাদুঘর থেকে ভাস্কর্যটি নিয়ে যায় ভারত। এটি পাকিস্তানের সম্পদ।ব্যারিস্টার জাফরি আদালতকে বলেন, ইউরোপের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মোনালিসার মতোই ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে নৃত্যবালিকার। এটি পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্মারক এবং এটিকে রক্ষা করা উচিত।নৃত্যরত বালিকার আদলে ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়। যে কারণে এর নাম দেওয়া হয় ‘ড্যান্সিং গার্ল’ বা নৃত্যবালিকা। এটি প্রায় ৫ হাজার বছরের পুরোনো। ১০ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার উচ্চতার এ ভাস্কর্যটি বিশ্বের নামিদামি ভাস্করের দৃষ্টি কেড়েছে। প্রাচীন সিন্দু জনপদের ঐতিহাসিক নিদর্শনের মধ্যে এটি উল্লেখযোগ্য।পাকিস্তানের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব আর্টসের মহাপরিচালক জামাল শাহ সম্প্রতি জানিয়েছেন, নৃত্যবালিকা ফিরিয়ে আনতে তারা ইউনেসকোর কাছে রিট পিটিশন দায়ের করার বিষয়ে ভাবছেন।
তথ্যসূত্র : ডন অনলাইন।