ব্লগার হত্যার নেপথ্যে জিয়া

একাত্তরলাইভডেস্ক: মুক্তমনা লেখক, প্রকাশক ও ব্লগার হত্যার নেপথ্যে ছিলেন সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। শুক্রবার গ্রেপ্তার হওয়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য খায়রুল ইসলামের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে এ দাবি করছে গোয়েন্দা পুলিশ।  শুক্রবার রাত ৯টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) শীর্ষস্থানীয় সদস্য খায়রুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি দক্ষিণ)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খায়রুল ইসলাম স্বীকার করেছেন, তিনি ফয়সল আরেফিন দীপন ও ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে খায়রুল জানিয়েছেন, তিনি ২০১৪ সাল থেকে এবিটির ইন্টেলিজেন্স শাখার সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত নিলয় এবং দীপন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন তিনি। নিলয় ও দীপনের বাসা, অফিস শনাক্ত করতে বহুদিন তাদের অনুসরণ করেন। এসব তথ্য তিনি এবিটির সামরিক (আসকারি) শাখাকে জানান। পরে জিয়ার নির্দেশে ৭ আগস্ট নিলয় ও ৩১ অক্টোবর দীপনকে হত্যা করা হয়। হত্যা শেষে তিনি ও তার সহযোগীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর দায় স্বীকার করেন। খায়রুল আরো জানিয়েছেন, জিয়া এখন আত্মগোপনে আছেন। তিনি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। গত ২৬ অক্টোবরও ঢাকার পাশের এক জায়গার তার সঙ্গে জিয়ার সাক্ষাৎ হয়েছে। সুযোগ বুঝে তিনি প্রকাশ্যে আসবেন। তবে জিয়া ঠিক কোথায় আত্মগোপনে আছেন তা জানাননি খায়রুল ইসলাম। ডিবির ‍যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ‘জিয়া এখন আত্মগোপনে আছে। তবে সে সাংগঠনিক কাজ অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে। তার অবস্থান শনাক্ত করতে আমাদের বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। খায়রুল যেসব তথ্য দিয়েছে, তা আমাদের অনুসন্ধানে সহযোগিতা করবে। আশা করছি, দ্রুত মেজর জিয়াকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি, ব্লগার-প্রকাশকদের হত্যাসহ যেসব জঙ্গি হামলা হয়েছে, তার নির্দেশনা সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়ার কাছ থেকে এসেছে। সে এবিটির সকল হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করছে।’