অনলাইন ডেস্ক : ব্যবসা থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বছরে মাত্র ২ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আয় করেন। এই হিসাবে তার মাসিক আয় দাঁড়ায় মাত্র ১৭ হাজার ২০৮ টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া এরশাদের হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ ও রংপুর-৩ আসনের প্রার্থী হতে গত বুধবার সংশ্লিষ্ট এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
হলফনামায় পেশার বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখা হয়েছে বিএ পাস।
হলফনামায় আয়ের উৎস বিবরণী থেকে জানা যায়, কৃষিখাত, বাড়ি-এপার্টমেন্ট-দোকান বা অন্যান্য ভাড়া, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত বাবদ এরশাদের কোনো আয় নেই।
তবে তিনি রাষ্ট্রীয় বিশেষ দূত হিসেবে বাৎসরিক সম্মানী পান ১৯ লাখ ৪ হাজার ৬৯৬ টাকা। এ ছাড়া সংসদ সদস্য হিসেবে জাপা চেয়ারম্যানের বাৎসরিক সম্মানী ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সম্মানী হিসেবে পান ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ১০ টাকা।
এরশাদের থেকে ৬ গুণ বেশি টাকা স্ত্রীর!
এরশাদ অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে দেখিয়েছেন, নগদ ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৮ টাকা। অবশ্য তার স্ত্রী রওশন এরশাদের হাতে নগদ দেখানো হয়েছে ২৬ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার ২৩৩ টাকা, যা এরশাদের উল্লেখিত হাতে নগদের প্রায় ছয় গুণ!
এ ছাড়া ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জাপা চেয়ারম্যানের ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬ টাকা জমা রয়েছে। শেয়ার মার্কেটে দেশের এই শীর্ষ রাজনীতিকের ৪৪ কোটি ১০ হাজার টাকা রয়েছে।
ফৌজদারি মামলা
হলনামায় দেখা গেছে, জাপা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বর্তমানে ৬টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ৫টি মামলাই দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে। এসব মামলার দুটি বর্তমানে বিচারাধীন, বাকি ৪টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
এ ছাড়া এরশাদের বিরুদ্ধে অতীতে আরও ২৭টি মামলা ছিল। এর মধ্যে ১৩টি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন, ৬টিতে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, ৪টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে, তিনটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ও একটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।