বৈঠকে ইসিকে যে দাবি জানালো ২০ দলীয় জোট

অনলাইন ডেস্ক : পক্ষপাতদুষ্ট জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) বদলির দাবি জানিয়েছে ২০ দলীয় জোট। একইসঙ্গে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীদের পিএস ও এপিএসদের নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।

রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ২০ দলীয় জোটের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান, ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপির) চেয়ারম্যান ও জোটের অন্যতম নেতা কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ।

তিনি বলেন, ইসি আমাদের ১৩ দফা দাবি গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন এবং দাবিগুলো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমরা বিতর্কিত কর্মকর্তাদের শাস্তি চাই না, বদলি চাই। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে এক জেলার কর্মকর্তাদের অন্য জেলায় বদলি করা জরুরি। এখনও সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। পুলিশ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। ইসির নির্দেশনার মাঠ পর্যায়ে কোনও প্রতিফলন নেই।’

কর্নেল অলি আহমেদ বলেন, ‘এখনও সারাদেশে গায়েবি মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এসব মামলায় কোনও আসামির নাম উল্লেখ না থাকায়, নির্বাচনের আগে পুলিশ বিএনপির এজেন্টদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখাবে। তাই আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মামলা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আজকের দিন পর্যন্ত ইসি প্রমাণ করতে পারেননি তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন। তাদের সীমাবন্ধতা আছে সেটা আমরা জানি, তবে আমরা যে ১৩টি প্রস্তাব এনেছি তাতে ইসি একমত হয়েছে।’

২০ দলীয় জোটের দাবি সম্বলিত চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে কয়েকদিন আগে নির্বাচন কমিশনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। তাদের নির্বাচনকালীন সময়ে অন্যত্র বদলির দাবি জানানো হয়েছিল। ২০ দলীয় জোটের প্রতিনিধি দলও মনে করে এগুলোর বাস্তবায়ন জরুরি। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য অতীতে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে ইসি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘ইসির নির্দেশনা সত্ত্বেও সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে নির্বাচনী এলাকা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। কমিশনকে এ ক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

‘নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারি রেডিও ও টেলিভিশন ইসির নিয়ন্ত্রণে থাকা বাঞ্ছনীয় বলেও মনে করে বিশ দলীয় জোট। বেসরকারি গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ইসির তরফ থেকে একটি গাইড লাইন করা প্রয়োজন। ১৫ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা প্রয়োজন।’

এসময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়ম মোহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।