বেলকুচির শতবছরের ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোহাগপুর শ্যামকিশোর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়

বেলকুচি প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে শতবছরের ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোহাগপুর শ্যমকিশোর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। ১৮৯৯ সালে ১৯ জানুয়ারী সোহাগপুরের কৃতিসন্তান তৎকালিন জমিদার রায় বাহাদুর কালিদাস চৌধুরী শিক্ষার আলো প্রসার করার জন্য ৪.৮২ একর জমির উপর সোহাগপুর শ্যামকিশোর মিডল ইংলিশ  বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। প্রথমে যষ্ঠ শ্রেণি পযর্ন্ত চললেও ১৯১৩  সালের ১লা জানুয়ারী সোহাগপুর শ্যামকিশোর মিডল ইংলিশ স্কুলটি সোহাগপুর শ্যাম কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় নামে সরকারী অনুমোদন লাভ করে। ১৮৯৯ সনে যে বিদ্যালয়টির বীজ রোপন করেছিলেন তা ১৪ বছরের ব্যবধানে ১৯১৩ সালে পূর্ণাঙ্গ বৃক্ষে পরিনত হয়।  অনেক কষ্ঠে খুজে পাওয়া তথ্য থেকে জনা গেছে, সোহাগপুর চৌধুরী বংশের জমিদাররা জমিদারী পত্তনের আগে কীত্তন খোলা নামক একটি গ্রামে বাস করতেন । গ্রামটির কোন অস্তিত্ব এখন আর নেই। জমিদারী পাবার পর চৌধুরী বংশের লোকজন সোহাগপুরকে তাদের আবাস্থল হিসেবে বেছে নেয়। তখন বৃটিশ সংকারের উপাধীকারী জমিদার রায় বহাদুর কালিদাস চৌধুরী এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৬ সালে বিদ্যালয়টি মূল জমি যমুনা গর্ভে বিলিন হওয়ার পর এটি নানারুপ প্রতিকুলতার সৃষ্টি হয়। অবশেষে কিছু সংখ্যাক শিক্ষানুরাগীদের ঐকাত্তিক সহযোগিতায় তৎকালিন প্রধান শিক্ষক সোরহাব আলী  সরকারের নেতৃত্বে এবং ঐ সময়ের সিরাজগঞ্জ মহুকুমা প্রশাসক জনাব কুদরত-ই- এলাহী চৌধুরী সাহেবের দৃঢ পদক্ষেপের ফলে বর্তমান স্থান মুকুন্দগাতী মৌজায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের পশ্চিমপাশে মনোরম ও নিরিবিলি পরিবেশে বিদ্যালয়টি পুনঃ স্থাপিত হয়। সময়ের আর্বতে বিদ্যালয়টি সাবেক অবয়ব না থাকলেও এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে  এখনও এক ও অভিন্ন। বর্তমান বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি দানশীল ব্যাক্তিত্ব আব্দুল হাই সরকার সাহেব নিজস্ব অর্থায়নে হামিদুল ইসলাম শাহীন হল নামে একটি অতি মনোরম বৃহৎ দ্বিতল ভবন প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গনপ্রজান্ত্রতী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আলহাজ আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের একান্ত প্রচেষ্ঠায় ও সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি মডেল স্কীমে উন্নতি হয়ে নির্মিত হয়েছে আধুনিক ডিজাইনের তিনতলা ভবন। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কম্পিউটার ল্যাব সহ আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ বিজ্ঞানাগার। ফলে অতি পুরাতন টিনের ভবনের স্থলে পরিবর্তনের জোয়ার এসে বিদ্যালয়টি অবকাঠামোগত উন্নয়ন শতবর্ষের মধ্যেই শাধিত হয়েছে। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাপ্ত অন্তে বেড়িয়ে গিয়ে প্রতিভাবান বহু শিক্ষার্থী নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেশের একটি উজ্জল নক্ষত্ররুপে। তারা হয়েছের সৎ রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট শিল্পপতি, কবি সাহিত্যিক, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবি, সমাজ সংস্কারক । তা ছাড়া পেশাগত কর্মে নিয়োজিত থেকে অনেকে যথেষ্ট সুনামও অর্জন করেছেন।