বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় বাড়ীর সিমানা পিলার স্থাপনকে কেন্দ্র করে রাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমানসহ উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ১০জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমানকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজগঞ্জ ২৫০শয্য হসপিটালে ভর্তি করে অবস্থার অবনতী হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার পরামস্য দেন। পরে ঢাকার শমরিতা জেনারেল হসপিটালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রুবেল, বাবু, সবুজ, হাবিবুর রহমানসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের তামাই কাজিপারা এলাকার আব্দুল্লাহ, মান্নান, তোতার সিমানা নির্ধারনের সময় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বেলকুচি থানার এস আই নাজমুল হক জানায়, তামাই কাজিপাড়া গ্রামের মৃত মজিবরের ছেলে তাঁত ব্যবসায়ী আব্দুল্লার সঙ্গে প্রতিবেশী মৃত ওসমান গণীর ছেলে তোতা ও মৃত মনছেরের ছেলে মান্নানের বাড়ীর জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিকেলে জমিটির সমাধানের জন্য সালিশি বৈঠক বসে। বৈঠকে উভয়পক্ষের কথা কাটা-কাটির একপর্যায়ে হাতা-হাতী হয়। এসময় আতাউর রহমান উত্তেজিত হলে মান্নানের পক্ষে উপস্থিত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শাহাদৎ হোসেন মুন্নাসহ স্থানিয়রা দেশীয় লাঠি-ষোঠা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় লাঠির আঘাতে রাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমানসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি শাহাদৎ হোসেন মুন্না বলেন, আমার লোকজন ওষানে যায়নি, যে সব কথা বলেছে তা মিথ্যা। আমি তামাই বাজার থেকে বাড়ী ফেরার সময় দেখি অনেক লোক বসে সিমানা পিলার স্থাপন নিয়ে কথা বলছে। আমি ওখানে যাই যাওয়ার পর আতাউর চেয়ারম্যান আমাকে অকথ্য ভাষায় গালী-গালাজ করে আমার কলার ধরে। এমন সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
বেলকুচিতে সিমানা পিলার স্থাপনকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যানসহ আহত ১০
