এম এ মুছা, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিকদের নিকট থেকে অতিরিক্ত চাদা আদায় বন্ধে দাওয়া-পাল্টা দাওয় হয়েছে।
রবিবার দুপুরে পৌর এলাকার মুকুন্দগাঁতী কলেজ মোড় থেকে শতাধিক রিক্সা-ভ্যান, অটোভ্যান শ্রমিকরা একটি মিছিল নিয়ে এসে মুকুন্দগাতীস্থ বেলকুচি উপজেলার রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক অফিস ভাংচুর করে। পরে রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক নেতারা পাল্টা দাওয়া করে। বেলকুচি থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
জানা যায়, রিক্সা-ভ্যান মালিকদের নিকট থেকে বেলকুচি পৌর কর হিসেবে ৩৫০টাকা নির্ধারণ করে দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। কিন্ত শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা লিজ নিয়ে এসে তা ৬০০ টাকা করে নিচ্ছে। এরই প্রতিবাদে সাধারণ শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শ্রমিক নেতারাও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে মুকুন্দগাতী কলেজ মোরে সাধারণ শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে মিছিল নিয়ে এসে শ্রমিক অফিস ভাংচুর করে।
সাধারণ শ্রমিকরা জানান, রিক্সা-ভ্যান শ্রমিকরা বছরের পর বছর ধরে চাপের মুখে অতিরিক্ত চাঁদা দিয়ে আসছে। এরপরেও মাঝে মধ্যেই নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ মিয়া বলেন, আমরা পৌর কর্তৃপক্ষর কাছ রিক্সা-ভ্যান ও অটোভ্যানের বাৎসরিক লাইসেন্স বাবদ ৩৫০টাকা ধরে লিজ নিয়ে এসেছি। আমাদের অফিসের খরচসহ ৫৫০টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। ৬০০টাকা করে নেওয়া হচ্ছেনা। ইতি মধ্যে পৌরসভা কর্তৃক বাৎসরিক লাইসেন্স করার জন্য ফরম বিক্রি শুরু করা হয়েছে। এরই এক পর্যায়ে উপজেলায় শ্রমিক নামধারী কিছু সংখ্যক শ্রমিক কোন রাজনৈতিক মহলের ইন্দনে রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক অফিস বন্ধ থাকা অবস্থায় অফিস কক্ষে থাকা টিভি ও আসবাবপত্র সহ ভাংচুর করে। সকাল থেকেই শ্রমিকরা পেটের তাগিদে উপজেলার অটোভ্যান শ্রমিকরা মুকুন্দগাঁতী ওয়াপদা বাঁধে নামধারী কিছু শ্রমিক জোড়পুর্বক তাদের গাড়িতে থাকা যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ভ্যান গুলি নিয়ে মিছিল শুরু করে। বর্তমানে পৌর মেয়র মহোদয় না থাকার কারণে আমরা তার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে, আমরা কালো তালিকা ভুক্ত উস্কানী দাতাদের নামের তালিকা তৈরি করে বেলকুচি থানায় সাধারন ডায়রি করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। প্রকৃত রিক্সা-ভ্যান ও অটোভ্যান শ্রমিকরা এ কাজ করেনি।
বেলকুচি থানা এস আই নাজমুল হক জানায়, দুই দল শ্রমিকদের মাঝে সংঘর্র্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় নাই দিলে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
বেলকুচি পৌরসভার প্যানেল মেয়র ইকবাল রানা বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ প্রতি রিক্সা-ভ্যান ও অটোভ্যানের জন্য লাইসেন্স ফি বাবদ ৩৫০টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। আমরা এ টাকা রিক্সা-ভ্যান ও অটোভ্যান মালিকের নিকট থেকে নিতে বলা হয়েছে। কোন শ্রমিকের নিকট থেকে নিতে বলা হয়নাই। শ্রমিক ইউনিয়নের মাধ্যেমে আমরা লিজ দিয়েছি। তারা কত নিচ্ছে তা আামরা জানিনা। তাছারা এ ব্যাপারে কেউ আমাদের কাছে লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ করেনি।