বুড়িচংয়ে সংখ্যালঘুর বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতি, স্বর্ণালংকার,নগদ টাকা লুট

শাহআলম শফি
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতির বাগিলাড়া গ্রামে মঙ্গলবার গভীর রাতে এক সংখ্যালঘুর বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। এসময় ৭/৮ জনের ডাকাতদল ঘরের দরজা ভেঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনদের জিম্মী করে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুটে নেয়। ডাকাতদের বেদড়ক পিটুনীতে আহত হয়েছে স্বপন নামের এক ব্যক্তি। ঘটনার সময় প্রতিবেশী এক মহিলা টের পেয়ে ঘর থেকে বের হলে তাকেও গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। ডাকাতকবলিত বাড়ির লোকজন চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে ডাকাতরা ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পালিয়ে যায়। এঅবস্থায় চরম আতঙ্কগ্রস্থ সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন ভয়ে মুখ খুলছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা যায়,জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের গোমতী নদীর পাশের বাগিলাড়া গ্রামের মৃত সন্তোষের বাড়ির দরজা ভেঙ্গে মঙ্গলবার রাত সোয়া ২ টায় হাফ প্যান্ট ও মুখে গামছা বেধেঁ ৭/৮ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। এসময় তারা বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনদের জিম্মী করে। সন্তোষের ভাই স্বপন এসময় প্রতিবাদ করলে তাকে বেদড়ক মারধোর করে। পরে বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুটে নেয়। ডাকাত কবলিত বাড়ির লোকজনদের চিৎকারে প্রতিবেশী মোফজ্জলের স্ত্রী বের হলে ডাকাতরা তার গলা টিপে কানের স্বর্নের দুল নিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসতে থাকলে ডাকাতরা দু রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ডাকাত কবলিত বাড়ির লোকজনদের বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে পালিয়ে যায়। এঅবস্থায় নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে ডাকাত কবলিত বাড়ির লোকজন ভয়ে কারো কাছে ডাকাতির বিষয়ে কোন কথা বলছেনা। অতি সম্প্রতি একই এলাকার মনিন্দ্র মাষ্টারের বাড়িতে তার ছেলে গৌতমের বিয়ের ৩ দিনের মাথায় ১৫/২০ জনের একটি শসস্ত্র ডাকাতদল দরজা ভেঙ্গে ওই বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনদের জিম্মী করে ২০ টি মোবাইল ফোন,নগদ দেড় লক্ষাধিক টাকা এবং ৩০ ভরি স্বর্নালংকার লুটে নেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় পত্রিকায় ডাকাতির বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সংখ্যা লঘু দু’জন নেতা জানান,ডাকাত কবলিত বাড়ির লোকজনদের প্রাননাশের হুমকীর পর তারা চুপ হয়ে যায়। এরপর পুলিশও অজ্ঞাত কারণে নিরব থাকে। এব্যাপারে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোজ কুমার দে জানান,বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমিসহ দেবপুর ফাঁড়ি খতিয়ে দেখছে।