মাহাবুবুর রহমান,কক্সবাজার
কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ার হত দরিদ্র পরিবারের এক নারী বিয়ে করে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার কয়েক দিনের মাথায় যৌতুকের দাবী পূরন করতে না পারায় আবারো পিতার বাড়ীতে ফেরক আসতে হয়েছে। এখন আইনী আশ্রয় ও নিতে পারছে না কারন তার কাজী এবং বিয়ে এবং কাবিন সহ সবকিছুই ভুয়া। একটি সূদুর প্রশারি পরিকল্পনা এবং প্রতারণা।
বিশেষ করে ভুয়া কাজীর কারনেই বেশি প্রতারিত হয়েছে বলে জানান। এতে শারিরিকএবং মানসিক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ কিশোরী টি অসহায় হয়ে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় ঘুরছে।
কক্সবাজার পৌরসভায় বিচার দিতে গিয়ে এক কিশোরী সহ তার অসহায় পিতার হৃদয় স্পর্শি আকুতি দেখে জানতে গিয়ে শহরের সমিতি পাড়ার আমির হোসেনর মেয়ে রীনা আকতার বলেন ৮/৯ মাস আগে মোবাইলে পরিচয় কথা বলা থেকে পরিচয় হয় মহেশখালী নতুন বাজার ফকিরাঘোনা এলাকার শামসুদ্দোহার ছলে জয়নালের সাথে। এক পর্যায়ে জয়নাল বিয়ের প্রস্তাব দিলে তাকে পারিবারিক ভাবে প্রস্তাব দিতে বলায় সে বলে এখন বলা যাবে না আগে আমরা বিয়ে করে ফেলি পরে জানাবো।
তার এক মামা নুরুল ইসলাম সহ বিয়ের কথা বার্তা বলাতে আমি বিশ্বাষ করি ৩১ এপ্রিল-১৭ তার সাথে চট্ট্রগাম পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করি । সেখানে থাকা অবস্থায় আমার নগদ ১৫ হাজার টাকা, এক জোড়া কানের দোল, একচি আংটি বিক্রি করে সব টাকা আত্বসাৎ করে জয়নাল।
আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেও চরম প্রতারনা করে। সেখানে গেলে তার পরিবার আমার কাছে বিপুল টাকা এবং ফার্নিচার ছাড়া বাড়িতে ঢুকতে দেয় নি। বাধ্য হয়ে আমার বাবার বাড়িতে আসলে তারা আমাকে কাবিন মূলে বিয়ে দেওয়া সিন্দান্ত নিলে জয়নাল তার সহযোগিতা সমিতি পাড়ার মৌলবী নুরুল আলম সহ স্থানিয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ মিলে আমাকে ৫ লাখ টাকার দেন মোহর ঠিক করে বিয়ের কাবিন সম্পন্ন করে।
সে সময় কাজী সাহেব ৬ হাজার ২০০ টাকা নিয়েছে আমার কাছ থেকে। এর ৫ দিনের মাথায় জয়নাল আবারো টাকার জন্য চাপ দেয়। আমার গরীব পিতা সেটা জোগাড় করতে না পারলে তারা আমাকে কাবিন ভুয়া বলে হুমকী দেয়।
পরে আমি যাচাই করতে গিয়ে দেখছি সত্যি আমার কাবিন ভুয়া এটা কিছুই না। এর মধ্যে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। এব্যপারে কাজীর নামের ব্যাক্তির সাথে মৌলবী নুরুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিয়ের সময় মেয়ের কাগজ পত্র ঠিক ছিল তবে ছেলের জন্ম নিবন্ধন সঠিক ছিল না।
সেটা বলাতে স্থানিয় সমাজ পতিরা বলেছে তারা এক সপ্তাহর মধ্যে কাগজ ঠিক করে এনে দেবে। পরে তারা আর কাগজ এনে দেয় নি তাই বিয়ে নিবন্ধন করাতে পারি নি।
এটা আসলেই ভুল হয়ে গেছে। তবে তিনি কাজী সিরাজুল ইসলামের সহকারী বলে দাবী করেন। এ ব্যপারে কাজী মৌলবী সিরাজুল ইসলাম ছিদ্দিকী জানান যদি এধরনের কাজ হয়ে থাকে সেটা ঠিক হয় নি। তবে তাদের সহকারী হিসাবে কারো কাজ করার এখতিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সেটা এড়িয়ে যান।
এব্যপারে স্থানিয় সচেতন মহলের দাবী অসহায় কিশোরীর পরিবার খুবই গরীব তারা এখন কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না কারন তার কাজী কাবিন সব ভুয়া। তাদের বড় ক্ষতি করেছে কাজী নামের নুরুল আলম। এ ব্যপারে অসহায় নারীর পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এদিকে আইনজীবি এড, ফজলাতুন্নাহার বলেন মহিলা চাইলে ভুয়া কাগজ দিয়ে বিয়ে করার জন্য তার স্বামী এবং কাজী দুজনের বিরুদ্বে আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে।