নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ২০১৭ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবে কর্মরত বিদেশি শ্রমিক ও তাদের নিয়োগদাতাদের ওপর মাসিক ফি বাড়িয়ে নতুন বাজেট ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার। খবর আরব নিউজের।
২০২০ সাল পর্যন্ত এই ফি দিতে হবে এবং প্রতিবছর ফি বাড়ানো হবে। আগামী চার বছরে ফি বেড়ে ৮০০ সৌদি রিয়ালে দাঁড়াবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার টাকা। গত বৃহস্পতিবার দেশটির ঘোষিত বাজেটে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, সৌদি আরবে বর্তমানে কোনো কোম্পানিতে বিদেশিদের সংখ্যা স্থানীয়দের চেয়ে বেশি হলে ওই কোম্পানিকে লেভি (এক ধরনের কর) দিতে হয়। বিদেশি শ্রমিকপ্রতি এই লেভির পরিমাণ ২০০ সৌদি রিয়াল। নতুন বাজেটে এর পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হয়েছে। যেসব কোম্পানিতে স্থানীয়দের চেয়ে বিদেশি কম তাদের েেত্র বর্তমানে ফি মওকুফের বিধান ছিল। কিন্তু নতুন বাজেটে আর সে সুযোগ থাকছে না। বিদেশি কম হলেও তাদের ওপর (জনপ্রতি) লেভি আরোপ করা হবে। তবে সে েেত্র কোম্পানিগুলো কিছু ছাড় পাবে।
সৌদি অর্থমন্ত্রী মোহাম্মাদ আল জাদান জানান, বিদেশিদের ওপর আরোপ করা এসব ফির আওতামুক্ত থাকবেন গৃহকাজে নিযুক্ত কর্মীরা। যেমনÑ ড্রাইভার ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তবে যারা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তাদের ফি দিতে হবে। বর্তমানে কোনো সৌদি বা বিদেশিকে আয়কর দিতে হয় না।
তিনি আরও জানান, দুভাবে এই ফি আরোপ করা হবে। একটি হচ্ছেÑ সৌদিতে বসবাসরত বিদেশিদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিত্তি করে। অন্যটি ইতোপূর্বে আরোপিত লেভি, যা কোম্পানিগুলো পরিশোধ করে। ২০২০ সাল পর্যন্ত এ দুই ধরনের ফি বাড়ানো হবে।
এদিকে সৌদিতে প্রবেশের ফিও বর্তমানের চেয়ে কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে নতুন বাজেটে। ঘাটতি কমিয়ে ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার করা হয়েছে। বাজেট বক্তব্যে জানানো হয়, নতুন বছরের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এর বিপরীতে দেশটির বিভিন্ন খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।
এর আগে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা কনসালট্যান্টের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে জানানো হয়, সৌদিতে প্রবেশের ফি বর্তমানের চেয়ে কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। এক বছর ও দুই বছর মেয়াদের ভিসার জন্য যথাক্রমে ৫ হাজার সৌদি রিয়াল এবং ৮ হাজার সৌদি রিয়াল দিতে হবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, সৌদি আরবের তেলনির্ভর অর্থনীতিতে বৈদেশিক বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করবে নতুন ভিসা ফি।
এদিকে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা এখন থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পাবেন। ফলে ভিসার মেয়াদ থাকা পর্যন্ত বারবার সৌদি আরবে আসা-যাওয়া করতে পারবেন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা।