একাত্তর লাইভ ডেস্ক:
দেখতে দেখতে চলে যাচ্ছে একটি বছর। চলে যাচ্ছে অনেক স্মৃতি। অনেক আশাজাগানিয়া রাত। অনেক সূর্যালোকিত ভোর। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। রাত শেষে সকালটা নতুন বছরের। শুভ ইংরেজি নববর্ষ। নতুন সূর্য উঁকি দেবে পুরাতনের গ্লানি ভুলে। বিদায় নিচ্ছে ২০১৬। আসছে ২০১৭। ৩৬৫ দিনের এই হিসেব-নিকেশ চলবে অনন্তকাল। বিদায়ের ব্যথা ভুলতে না ভুলতেই মেতে উঠবো নতুনের আনন্দে।
কথায় বলে, ‘যায় দিন ভালো; আসে দিন মন্দ’। তবে আমরা সেটা চাই না। আমাদের যেদিন গেছে; তা হোক সফলতার কিংবা ব্যর্থতার। আমরা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনগুলো সাজাবো নির্ভুলভাবে। প্রবাদ থাকুক প্রবাদের মতো; আমরা চলবো নিজেদের বুদ্ধিমত্তায়।
গত এক বছর আমাদের জন্য অনেক কারণেই আলোচিত-সমালোচিত। রাজনৈতিক যোগ-বিয়োগ, ধর্মীয় সম্প্রীতি-সহিংসতা, আন্তর্জাতিক শুভ-মন্দ দৃষ্টি আমাদের বারবার হোচট খেতে বাধ্য করলেও আমরা উঠে দাঁড়িয়েছি। বিপদসংকুল পথেই দীপ্ত পায়ে হেঁটেছি। আমাদের সংস্কৃতির ওপর থাবা এসেছে- তবুও আমরা থমকে যাইনি। আমাদের বিনোদনের সফলতা-ব্যর্থতাও আমাদের নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। আমাদের সাহিত্যাঙ্গনে নতুন বাঁক এসেছে। আমরা সমৃদ্ধ হয়েছি। আমরা হোচট পথে চলতে চলতে দুরন্ত পথিক হয়েছি।
কবির ভাষায়, ‘রূপ রস ও গন্ধময়,/ পৃথিবী হতে বিদায় লয়,/ পুরাতন বর্ষ শেষ হয়।’ পুরাতনকে হাসি মুখেই বিদায় দিতে প্রস্তুত আমরা। প্রস্তুত শেষরজনী উদযাপনে। স্বাগত জানাবো নতুন সূর্যকে। বাংলার সর্বস্তরের মানুষের জন্য শুভময় সফলতম বছর আসুক- এ প্রার্থনা করবে সব ধর্মের মানুষ। অরো একটি কঠিন ফলকে নিজেদের নামাঙ্কিত করতে প্রস্তুত আমরা।
২০১৬ সালের যাবতীয় ঘটনার আলোকপাত মূল উদ্দেশ্য নয়। ব্যক্তিজীবনে, সামাজিক প্রেক্ষাপটে, রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য থমকে যাওয়ার কারণ না খুঁজে অশুভকে বিতাড়িত করে শুভক্ষণকে বরণ করবো। কবিগুরুর ভাষায় বলতে হয়, ‘মুছ যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা। অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’
সবশেষেও কবির মতোই বলতে হয়, ‘মুকুলিত সব আশা,/ স্নেহ, প্রেম, ভালবাসা,/ জীবনে চির স্মৃতি হয়ে রয়। … পুরাতন বর্ষ বিদায় লয়।/নববর্ষের আগমন হয়।’ সব আশা-স্নেহ-ভালোবাসা স্মৃতি হয়ে থাকুক। আগামী আসুক পুষ্পশোভিত হয়ে। প্রজ্জ্বলিত সূর্যের আলোকচ্ছটায় আলোকিত হোক বিশ্ব। বিশ্বের যাবতীয় মানুষের কল্যাণ হোক। বাংলাদেশ উত্তরোত্তর সফলতার দিকে এগিয়ে যাক। বিদায় ২০১৬; স্বাগতম ২০১৭।