আদালত সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বিষ্ফোরক আইন ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে নরসিংদী সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২৭ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। সেখানে বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনের নাম ছিল না। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২৫ নভেম্বর ২৭৩ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেখানে খোকনকেও অভিযুক্ত করা হয়।
বিষয়টি জানতে পেরে দুপুরে নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন খোকন। আদালতের বিচারক মো. আতাবুল্লাহ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগের দিন বুধবার সকালে তিনি আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নরসিংদী-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
নরসিংদী আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও খায়রুল কবিরের ব্যক্তিগত আইনজীবী আবদুল বাছেত ভূঁঞা বলেন, ‘এটি আসলে একটি গায়েবি মামলা। গত ৮ তারিখে নরসিংদীতে এমন কোনো কিছু হয়নি। তারপরও পুলিশ বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২৭ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। সেখানে খায়রুল কবির খোকন এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন না। কিন্তু তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হওয়ায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গত ২৫ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খায়রুল কবির খোকনসহ ২৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে চার্জশিট দেন।’
আবদুল বাছেত ভূঁঞা আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন খোকন। কিন্তু আদালত তাকে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। যেহেতু সামনের নির্বাচনে তিনি একজন প্রার্থী সেহেতু আমরা প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের সহযোগিতা চাইব।’