নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন দলটি ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম.এ. মান্নান। আজ সকালে নারায়ণগজ্ঞ বন্দর উপজেলার সোনাকান্দির হেভেন কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপি নারায়ণগজ্ঞ মহানগর শাখা আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।অধ্যাপক এম.এ. মান্নান আরো বলেন, ২০১৪ সালের মতো এবার আর নির্বাচন ছেড়ে দিবো না। গত নির্বাচনে যায়নি কারণ সে নির্বাচন সুষ্ঠ হতো না জানতাম। কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধিনে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠ হতে পারে না।
যে সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে, সে সরকারের জন্য আন্দোলন, সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। দাবি আদায়ের মাধ্যমেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি। যতবার সুষ্ঠ নির্বাচন হয়েছে ততবার নারায়ণগজ্ঞ ৫টি আসন বিএনপিকে উপহার দিয়েছে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনের দিকে খেয়াল রেখে শুধু বিএনপি নয় অঙ্গসংগঠন গুলোকে বিরোধ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এম.এ.মান্নান বলেন, মুদি দোকান থেকে গার্মেন্টস কারো ব্যাবসায়ীক অবস্থা ভালো নেই। জমি-জমা থেকে গার্মেন্টস সব ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সরকার ব্যবসাে করার কোনরূপ সুযোগ দিচ্ছে না। এর সুযোগ নিচ্ছে বিদেশীরা। তাদের সরযন্ত্রে বর্তমানে সকল ব্যবসা ধংস হয়ে যাচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও গাজীপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, এ্যাড. আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দীন আহম্মেদ, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ.টি.এম কামাল, নারায়ণগজ্ঞ বার কাউন্সিলর সভাপতি এ্যাড. শাখাওয়াত হোসেন, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বকুল প্রমূখ।
সভায় নারায়ণগজ্ঞ মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এডভোকেট আবুল কালাম বলেন, দলের ভিতর থেকে দলের ঐক্য বিনষ্টকারী হিসেবে যারা চিহ্নিত হয়ে আছে তাদেরকে কোনঠাসা করতে হবে। যারা দল নিবেদিত প্রাণ তাদেরকেও চিনতে হবে। আজকে আবদুল মজিদ, জাহাঙ্গীর আলম কমিশনার নারায়ণগজ্ঞ মহানগর বিএনপি’র কমিটি বাতিল করার দাবি জানাচ্ছেন।
কমিশনার খোরশেদ আলম পদত্যাগ করতে চাচ্ছেন। তাকে কমিটিতে যুগ্ম-সম্পাদক পদ দিয়েছি। তাদের সকলকে কমিটিতে নিয়েছি। কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে দাবি জানাচ্ছি যারা দলের ঐক্যের বিপরীতে ভাঙ্গনের চেষ্টা করছে তাদের চিনে নিতে হবে। একই সাথে দলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে কারা কাজ করছে তাদেরকেও চিনতে দরকার হলে তৃণমূল নেতাদের ডেকে তাদের পরামর্শ নিন।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দীন আহম্মেদ বলেছেন, নেতাকর্মীদের মূল্যায়ণ ছাড়া দল চালাতে চাইলে কোন ভাবেই দল থাকবেনা। কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মূল্যায়ণ করতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে, পরামর্শ নিতে হবে। কেন্দ্রীয় নেতাদের কমিটি করার আগে মনে রাখা উচিত ছিলো অনেক নেতাকর্মী মাঠে কাজ করে। তাদের কথা, পরামর্শ নিয়ে কমিটি করা হলে দল সুসংগঠিত হত।
যখন নেতারা মূল্যায়ন করে না মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়। শুধু নারায়ণগজ্ঞ নয় সারা বাংলাদেশেই এক অবস্থা বিরাজ করছে। তবে নেত্রী যদি নির্বাচনে যায় তাহলে সকল বিবাদ ভুলে গিয়ে ঐক্যভাবে সবাইকে এখনি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।
নেত্রীর আহবানে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধতার সাথে এ দেশকে বর্মান সৈরশাসকের হাত থেকে মুক্ত করতে হবো। শুধু আমরা না দেশের সকল জনগণই বলে দেশে গণতন্ত্র নেই। আমরা শুধু বলি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো। এলক্ষ্যে দল যাকে মনোনিত করবে, সে প্রার্থীকে বিজয়ী করে নিয়ে আসতে হবে। এ নারায়ণগজ্ঞ বিএনপির ঘাটি। যদি সুষ্ঠ নির্বাচন হয় তাহলে নেত্রীকে নারায়ণগজ্ঞের ৫টি আসন উপহার দিতে চাই।