বাল্য বিয়ে রুখা শিক্ষার্থী নিলীমার মনিটরিং করছে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বরিশাল প্রতিনিধিঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় নিজের বাল্য বিয়ে রুখতে গিয়ে হামলার শিকার আহত হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থী নিলীমার সার্বিক মনিটরিং করছে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বাল্য বিয়েতে বাধ্য করতে শিক্ষার্থী ও তার মা বোনকে মারধরের লিখিত অভিযোগের তিন দিনেও মামলা রেকর্ড করেনি থানা। আহত শিক্ষার্থীর পাশে দাড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নিয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। হামলাকারী কাকা রনিকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি আহত শিক্ষার্থী নিলীমা ও তার মা অনিতাকে হাসপাতালে দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারিক সালমন। এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দীপিকা রানী সেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সমাজসেবা অতিরিক্ত দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ হাসপাতালে নিলীমাকে দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসার দ্বায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাল্য বিয়েতে বাধ্য করতে শিক্ষার্থীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়া কাকা রনি করকে এএসআই শাহজাহান গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃত রনিকে বৃহস্পতিবার দুপুরেই ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারিক সালমন নিলীমাকে বাল্য বিয়েতে বাধ্য করার অপরাধে তার কাকা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ড্রাইভার রনি করকে এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, উপজেলার রতœপুর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের নিপুল করের মেয়ে ও

বারপাইকা স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী নিলীমা করকে তার অমতে তার কাকা একই বাড়ির বিপুল কর, রনি কর ও বিপুলের স্ত্রী অনিতা কর জোরপূর্বক একই উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের আদিত্য সরকারের ছেলে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক অমর সরকারের কাছে বাল্য বিয়ে ঠিক করেন। গতকাল ২৭ এপ্রিল ছিল এই বাল্য বিয়ের নির্ধারিত দিন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দিপীকা রানী সেন জানান, শিক্ষার্থীর ব্যাপারে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, মন্ত্রণালয় থেকে সচিব ফোনে তার কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।