মাহাবুবুর রহমান,কক্সবাজার: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ১০০ মিটারের মধ্যে বালিয়াড়ি দখল করে স্থায়ীভাবে তিন শতাধিক মার্কেট নির্মাণের কাজ চলায় ফুঁসে উঠেছে কক্সবাজারের মানুষ। এনিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন নাগরিক ও সামাজিক আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। পর্যটকদের জন্য হাটাচলার উন্মুক্ত বালিয়াড়ির উপর একটি বেসকারি বিজ্ঞাপনী সংস্থার মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির নির্মাণাধীন মার্কেট বন্ধ করতে দ্রুত মাঠে নামবে বলে হুঁশিয়ারি কক্সবাজার সম্পদ রক্ষা আন্দোলনের নেতাদের।
তারা বলছেন- সৈকতের বালিয়াড়িতে কোনো ধরণের স্থাপনা নির্মাণ না করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। তাছাড়া পর্যটকদের জন্য সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট হলো একটি আকর্ষণীয় স্থান। অধিকাংশ পর্যটক সুগন্ধা পয়েন্টের বালিয়াড়ি দিয়ে সৈকতে নামেন। কিন্তু একটি চক্র সেই বালিয়াড়ির উপর স্থায়ী মার্কেট নির্মাণ করেই যাচ্ছে। যেখানে সৈকতের বালিয়াড়ি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, সেখানে আইন না মেনেই মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে।
কক্সবাজার সম্পদ রক্ষা আন্দোলনের নেতা নাজিম উদ্দিন বলেন, পুরো বিশ্বের কাছে পরিচিত কক্সবাজারের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক টাকা খরচ করে সমুদ্রসৈকত দেখতে আসেন। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে তারা আনন্দ উপভোগ করেন। কিন্তু যেখানে পর্যটকদের আনন্দ করার এবং মুক্ত আকাশের নিচে ঘুরে বেড়ানোর জায়গা; সেই বালিয়াড়ির উপর কিভাবে স্থায়ী মার্কেট নির্মাণ করা সম্ভব ? পুরো সুগন্ধা পয়েন্টে সৈকতের বাড়িয়াড়ি দখল করে শত শত মার্কেট নির্মাণের কর্মযজ্ঞ চলছে। এই মার্কেটের কারণে পর্যটকরা হাটতে পারবেনা। সৈকতে নামার যে বিনোদন ছিল সেটা হারিয়ে যাবে।
কক্সবাজার পিপল্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, সৈকতের বালিয়াড়িতে মার্কেট নির্মাণের কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। জানি পর্যটকদের সুবিধার জন্য মার্কেটের প্রয়োজন আছে। তাই বলে কি; সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে নির্মাণ করতে হবে ? বালিয়াড়ি ছাড়া সৈকতের পাশে আরো অনেক জায়গা আছে। এসব জায়গায় নির্মাণ করলে একটি সুন্দর পরিবেশ হতো। বালিয়াড়ি দখল করে মার্কেট নির্মাণের কারণে সৈকতকে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একটি নোংরা ও ঘিঞ্জি সৈকতে পরিণত হচ্ছে।