বাতাসে দোল খাচ্ছে চাষির সোনালি স্বপ্ন

একাত্তরলাইভডেস্ক: বরেন্দ্র অঞ্চলের মাঠে মাঠে এখন কৃষকের সোনালি স্বপ্ন বাতাসে দোল খাচ্ছে।সোনালি ধানের শীষে ভরে উঠেছে মাঠ। সেই সঙ্গে রঙিন হয়ে উঠছে প্রান্তিক চাষিদের স্বপ্ন। মাঠজুড়ে এখন সোনালি স্বপ্নের ছড়াছড়ি।চলতি কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা ধান কাটা শুরু করেছেন। অগ্রহায়ণ মাস পড়লেই পুরোদমে আমন কাটা-মাড়াই শুরু করবেন তারা। চলতি মৌসুমে সময়মতো বৃষ্টি এবং অনুকূল আবহাওয়া থাকায় অন্যসব বছরের চেয়ে আমন চাষাবাদ ভাল হয়েছে। আশানারুপ ফলনের সম্ভাবনাও রয়েছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৩ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমি। এর মধ্যে পোকা দমনের পদ্ধতিতে পার্চিং-লগ, লাইন এবং ধোইঞ্চা গাছ লাগানো হয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে।এ ছাড়া বরন্দ্রে অঞ্চলের নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমন চাষাবাদ হয়েছে আরো ৩ লাখ ৫০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে। এসব এলাকার মাঠগুলোতে যতদূর চোখ যায়- চারদিকে শুধু সোনালি ফসলের সমারোহ।রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌর এলাকার পাঁচগাছা এলাকার কৃষক নেওয়াজ আলী জানান, চলতি মৌসুমে ১৩ বিঘা জমিতে তিনি সাদা স্বর্ণা জাতের ধান চাষ করেছেন। বর্তমানে তার খেতের ধানে পাক ধরেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাটা পড়বে।তিনি বলেন, পুরো মাঠ এখন সোনালি রঙে সেজেছে। মাঠে গেলে বাতাসের দোলে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে।তানোর উপজেলার পাঁচন্দর গ্রামের কৃষক লতিফ সরদার জানান, চলতি মৌসুমে ১৫ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন তিনি। অন্যসব কৃষকের চেয়ে একটু আগাম আমন রোপন করেছিলেন তিনি। তাই তার খেতের ধান সবার আগেই ৬ থেকে ৭ বিঘা কাটা পড়েছে। বাকিগুলো দুএকদিনের মধ্যেই কাটা হবে।রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দেব দুলাল ঢালী জানান, চলতি মৌসুমে মাঠে অন্যসব বছরের চেয়ে ধানের শীষ ভাল আছে। এবার বাম্পার ফলনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।