বাগেরহাটে জেএমবি নেতা বড় ভাইয়ের সন্ধানে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থা

মোয়াজ্জেম হোসেন মজনু বাগেরহাট থেকে : বাগেরহাটে নব্য জেএমবির বড় ভাইয়ের সন্ধানে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থা। দক্ষিণা লে কথিত বড় ভাইয়ের পৃষ্টপোষকতায় সংঘবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্র ও সরকারের রিরুদ্ধে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল নব্য জেএমবি’র। সোমবার রাতে বাগেরহাটের কচুয়ায় পুলিশের গোপন সশস্ত্র অভিযানে চার জেএমবি সদস্য আটকের পর ভেস্তে যায় তাদের সে পরিকল্পনা। ওই অভিযানে আটক চার জেএমবি সদস্যের শিকারোক্তি অনুযায়ী এসব তথ্য জানিয়েছেন খুলনা বিভাগের ডিআইজি মো: মনিরুজ্জামান। বুধবার দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব তথ্য জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কচুয়ায় আটক চার জেএমবি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে চা ল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।কথিত এক বড় ভাইয়ের পৃষ্টপোষকতায় তারা এ অ লে নতুন করে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। পরিকল্পনা রয়েছে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বড় ধরনের নাশকতার।পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ইতোমধ্যে ওই বড় ভাইয়ের কর্মকান্ড খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে ওই বড় ভাইয়ের সম্পর্কে কোন তথ্য প্রকাশ করেননি। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম জোন) হাবিবুর রহমান, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম চন্দ্র বিশ্বাস।সোমবার ভোর রাতে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের খলিসাখালি গ্রামে সাফায়েত শেখের বাগান বাড়িতে নাশকতা পরিকল্পনার বৈঠকে অভিযান চালিয়ে চার জেএমবি সদস্যকে একটি রিভলবার, দুই রাউন্ড গুলি, পাঁচটি হাতবোমা, একটি কম্পিউটার সেট ও জেহাদী বইসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।এসময় জেএমবি’র ছোড়া হাত বোমায় আজিজ, মতিন ও আজাদ নামে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কাকারবিল গ্রামের বেদার উদ্দিন মোল্লার ছেলে আকাশ (১৯) ওরফে বাবু, পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার রগুনাথপুর গ্রামের লোকমান ফরাজীর ছেলে কবীরুল (২৬), পিরোজপুরের মাছিমপুরের আব্দুল হাই সেখের ছেলে মো. হাবিবুল্লাহ (১৯), একই জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর সোনাখালী গ্রামের সাহাজাহান হাওলাদারের ছেলে মিজানুর রহমান (২৮)।