বাংলাদেশের আট টেস্ট জয়ের গল্প

একাত্তরলাইভডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটে জয় আগেও পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে মিরপুরে কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া জয়টি ছাপিয়ে যাচ্ছে আগের সবগুলোকে। এই জয়ের মাহাত্ম্য যে অনেক।টেস্ট ক্রিকেটের প্রাচীনতম দুই দলের একটি তারা। প্রবল পরাক্রমশালীও। র‌্যাঙ্কিংয়েও বিস্তর এগিয়ে। সেই ইংল্যান্ডকে টেস্টে হারানো কম কথা নয়! বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা অর্জন এটি।আর কদিন পরেই (১০ নভেম্বর) টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পথচলার ১৬ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এর আগে এলো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়। সব মিলিয়ে এটি বাংলাদেশের অষ্টম টেস্ট জয়।যেভাবে বাংলাদেশের আট টেস্ট জয়:প্রথম জয়: (৬-১০ জানুয়ারি ২০০৫, এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম; প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে)৩৮১ রানা তাড়া করতে নামা জিম্বাবুয়ের ২ রানেই ২ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ দিনে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২৩৫ রান, বাংলাদেশের ৭ উইকেট। সেই ৭ উইকেট তুলে নিতে বেশি সময় লাগেনি স্বাগতিকদের। লাঞ্চের পরপরই এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। এনামুল হক জুনিয়রের বলে সিলি পয়েন্টে ক্রিস্টোফার পোফুর ক্যাচ জমা পড়ল মোহাম্মদ আশরাফুলের হাতে। সঙ্গে সঙ্গে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম হয়ে গেল উৎসবের মঞ্চ। পাঁচ বছর, ৩১ পরাজয় আর তিন ড্রয়ের পর এলো বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়।সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৮৮ (হাবিবুল ৯৪, রাজিন ৮৯, রফিক ৭৯; পোফু ৪/১০৯) ও দ্বিতীয় ইনিংস: ২০৪/৯ ডিক্লে. (হাবিবুল ৫৫, রাজিন ২৬, মাসুদ ২৩; চিগুম্বুরা ৫/৫৪, হন্ডো ৩/৬১)জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ৩১২ (তাইবু ৯২, চিগুম্বুরা ৭১, টেলর ৩৯; রফিক ৫/৬৫, মাশরাফি ৩/৫৯) ও দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৮১) ১৫৪ (মাসাকাদজা ৫৬, টেলর ৪৪; এনামুল জুনিয়র ৬/৪৫, তাপস ২/২০, মাশরাফি ২/১৭)।ফল: বাংলাদেশ ২২৬ রানে জয়ী।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: এনামুল হক জুনিয়র।দ্বিতীয় জয়: (৯-১৩ জুলাই ২০০৯, সেন্ট ভিনসেন্ট; প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ)বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বে সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের শীর্ষ পর্যায়ের তেমন কোনো ক্রিকেটার দলে ছিলেন না। খর্ব শক্তির সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ২৭৭ রান তাড়া করতে নেমে অভিষিক্ত মাহমুদউল্লাহর ঘূর্ণি জাদুতে ১৮১ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। অভিষেকে পাঁচ উইকেট-কীর্তি গড়েন মাহমুদউল্লাহ। সে ম্যাচেই তামিম ইকবাল পেয়েছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি।সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৩৮ (মাশরাফি ৩৯, মুশফিক ৩৬, শাহাদাত ৩৩; রোচ ৩/৪৬, বার্নার্ড ২/৩০, বেস্ট ২/৫৮) ও দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৪৫ (তামিম ১২৮, জুনায়েদ ৭৮, মুশফিক ৩; স্যামি ৫/৭০, রোচ ৩/৬৭)।ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৩০৭ (ফিলিপস ৯৪, বার্নার্ড ৫৩, স্যামি ৪৮; মাহমুদউল্লাহ ৩/৫৯, রুবেল ৩/৭৬, সাকিব ২/৭৬) ও দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ২৭৭) ১৮১ (বার্নার্ড ৫২*; মাহমুদউল্লাহ ৫/৫১, সাকিব ৩/৩৯)।ফল: বাংলাদেশ ৯৫ রানে জয়ী।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল।তৃতীয় জয়: (১৭-২০ জুলাই ২০০৯, সেন্ট জর্জ, গ্রানাডা; প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ)চতুর্থ দিনে ২১৫ রান তাড়া করতে নেমে ৬৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ। টাইগারদের জয় তখন শত আলোকবর্ষ দূরের পথ বলেই মনে হচ্ছিল। তবে দুই হাসান- সাকিব আল হাসান ও রকিবুল হাসানের ব্যাটে কী দুর্দান্তভাবেই না ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। দুজন পঞ্চম উইকেটে গড়লেন ১০৬ রানের মহামূল্যবান জুটি। রকিবুল ৬৫ রানে করে ফিরে গেলেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন সাকিব। জয়সূচক রানটিও আসে রাজকীয়ভাবে। রোচের প্রথম দুই বলে দুটি চার মেরে পরের বলে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান সাকিব। চতুর্থ বলটি লং-অনের ওপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করে জয় এনে দেন সেই ম্যাচের অধিনায়ক সাকিব। দুই ম্যাচের সিরিজে দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ হয় হোয়াইটওয়াশ। সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ২৩৭ (ডোলিন ৯৫, রিচার্ডস ৬৯; মাহমুদউল্লাহ ৩/৪৪, সাকিব ৩/৫৯, এনামুল জুনিয়র ৩/৬২) ও দ্বিতীয় ইনিংস: ২০৯ (বার্নার্ড ৬৯, ডোলিন ৪৯; সাকিব ৫/৭০, এনামুল জুনিয়র ৩/৪৮)।বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৩২ (মুশফিক ৪৮, রকিবুল ৪৪, তামিম ৩৭; রোচ ৬/৪৮) ও দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ২১৫) ২১৭/৬ (সাকিব ৯৬, রকিবুল ৬৫, তামিম ১৮; স্যামি ৫/৫৫)ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাকিব আল হাসান।চতুর্থ জয়: (২৫-২৯ এপ্রিল ২০১১, হারারে স্পোর্টস ক্লাব; প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে)সিরিজে আগের ম্যাচটি বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এই ম্যাচে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের সামনে ছুড়ে দেয় ৪০১ রানের কঠিন লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই বাংলাদেশের বোলারদের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। স্বাগতিকরা অলআউট হয়ে যায় ২৫৭ রানে। একপ্রান্তে ১১১ রানে অপরাজিত ছিলেন মাসাকাদাজা। বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট তুলে নেয় নিজেদের চতুর্থ জয়, ১৪৩ রানে। অভিষেকে ৪ উইকেট নেন জিয়াউর রহমান।সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৯১ (সাকিব ৮১, নাসির ৭৭, মুশফিক ৬০, তামিম ৪৯’ চিগুম্বুরা ৩/৭৫, মেথ ২/৪১) ও দ্বিতীয় ইনিংস: ২৯১/৯ ডিক্লে. (মুশফিক ৯৩, নাসির ৬৭, সাকিব ৫৯; শিঙ্গি মাসাকাদাজা ৪/৫৮, হ্যামিল্টন মাসাকাদাজা ৩/২৪)জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ২৮২ (চিগুম্বুরা ৮৬, মুতুম্বামি ৪২, টেলর ৩৬; রবিউল ৫/৮৫, সোহাগ ৪/৫৯) ও দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ৪০১) ২৫৭ (মাসাকাদাজা ১১১*, সিবান্দা ৩২; জিয়াউর ৪/৬৩, সাকিব ৩/৫২)। ফল: বাংলাদেশ ১৪৩ রানে জয়ী।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুশফিকুর রহিম।পঞ্চম জয়: (২৫-২৭ অক্টোবর ২০১৪, শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, মিরপুর; প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে)দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিংয়ে তাইজুল ইসলাম নিলেন ৮ উইকেট। তাতে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ ১১৪ রানেই। বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্য মাত্র ১০১। কিন্তু স্কোরবোর্ডে কোনো রান জমা না হতেই পড়ে গেল ৩ উইকেট! ওপরের দিকের তিন ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, শামসুর রহমান ও মুমিনুল হক- তিনজনের নামের পাশেই শূন্য। তবে শেষ পর্যন্ত জয় হাতছাড়া হতে দেয়নি স্বাগতিকরা। বল হাতে আলো ছড়ানো তাইজুল জ্বলে ওঠেন ব্যাট হাতেও। ৮২ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর অষ্টম উইকেটে মুশফিকুর রহিম (২৩*) ও তাইজুলের (১৫*) অবিচ্ছিন্ন ১৯ রানের জুটিতে বাংলাদেশ পায় রুদ্ধশ্বাস জয়। তার আগে শূন্য রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ৪৬ রানের মহামূল্যবান জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ (২৮) ও সাকিব (১৫)।সংক্ষিপ্ত স্কোর:জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ২৪০ (সিকান্দার ৫১, আরভিন ৩৪; সাকিব ৬/৫৯, জুবায়ের ২/৫৮) ও দ্বিতীয় ইনিংস: ১১৪ (টেলর ৪৫*, মাসাকাদজা ২৫; তাইজুল ৮/৩৯)।বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৫৪ (মুশফিক ৬৪, মাহমুদউল্লাহ ৬৩, মুমিনুল ৫৩; পানিয়াঙ্গারা ৫/৫৯) ও দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ১০১) ১০১/৭ (মাহমুদউল্লাহ ২৮, মুশফিক ২৩*, তাইজুল ১৫*; চিগুম্বুরা ৪/২১)।ফল: বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তাইজুল ইসলাম।ষষ্ঠ জয়: (৩-৭ নভেম্বর ২০১৪, শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, খুলনা; প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে)ম্যাচে দুই দলেরই প্রথম ইনিংস দেখে জোড়া সেঞ্চুরি। চতুর্থ ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ৩১৪ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়ে যায় ১৫১ রানেই। তাতে বড় অবদান সাকিব আল হাসানের। দলের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করেছিলেন, ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে বল হাতে নেন পাঁচ উইকেট। ইয়ান বোথাম ও ইমরান খানের পর মাত্র তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি আর ১০ উইকেটের বিরল রেকর্ড গড়লেন সাকিব। স্পিনার হিসেবে সাকিবই প্রথম।সংক্ষিপ্ত স্কোর : বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৩৩ (সাকিব ১৩৭, তামিম ১০৯, মাহমুদউল্লাহ ৫৬; পানিয়াঙ্গারা ২/৪৯, চাতারা ২/৬১, ওয়ালার ২/৬৫) ও দ্বিতীয় ইনিংস: ২৪৮/৯ ডিক্লে. (মাহমুদউল্লাহ ৭১, মুমিনুল ৫৪, শুভাগত ৫০; ওয়ালার ৪/৫৯, ম’শাংউই ৪/৮২)জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ৩৬৮ (মাসাকাদজা ১৫৮, চাকাভা ১০১, টেলর ৩৭; ৫/৮০, তাইজুল ৩/৯৬, রুবেল ২/৫৫) ও দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩১৪) ১৫১ (মাসাকাদজা ৬১; সাকিব ৫/৪৪, তাইজুল ৩/৪৪, জুবায়ের ২/৪২)।ফল: বাংলাদেশ ১৬২ রানে জয়ী।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাকিব আল হাসান।সপ্তম জয়: (১২-১৬ নভেম্বর ২০১৪, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম; প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে)আবারও বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস দেখে জোড়া সেঞ্চুরি, তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের ব্যাট ছোঁয় তিন অঙ্ক। দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন মুমিনুল হক। জিম্বাবুয়ে ৪৪৯ রান তাড়া করতে নেমে অলআউট হয়ে যায় ২৬২ রানে। প্রথমবারের মতো তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫০৩ (ইমরুল ১৩০, তামিম ১০৯, মুমিনুল ৪৮, রুবেল ৪৫*; সিকান্দার ৩/১২৩) ও দ্বিতীয় ইনিংস: ৩১৯/৫ ডিক্লে. (মুমিনুল ১৩১*, তামিম ৬৫, মুশফিক ৪৬; পানিয়াঙ্গারা ২/৩১)।জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ৩৭৪ (চিগুম্বুরা ৮৮, সিকান্দার ৮২, মাসাকাদজা ৮১; জুবায়ের ৫/৯৬, শফিউল ২/৫০) ও দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ৪৪৯) ২৬২ (চাকাভা ৮৯*, সিকান্দার ৬৫; রুবেল ২/১৬, শফিউল ২/১৭, জুবায়ের ২/৫৬, শুভাগত ২/৬৬)।ফল: বাংলাদেশ ১৮৬ রানে জয়ী।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুমিনুল হক।অষ্টম জয়: (২৯-৩০ অক্টোবর ২০১৬, শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, মিরপুর; প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড)এই জয়টি তো এখনো টাকটা। জয়ের গল্পটি তাই আর না বললেও চলে। তরুণ তুর্কি মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো হারিয়ে দিল ইংল্যান্ডকে। ২৭৩ রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১০০ রান তুলে ফেলা ইংল্যান্ডকে এক সেশনেই গুঁড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ পেল ঐতিহাসিক জয়। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা জয় বটে।সংক্ষিপ্ত স্কোর:বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২২০ (তামিম ১০৪, মুমিনুল ৬৬, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সাকিব ১০; মঈন ৫/৫৭, ওকস ৩/৩০, স্টোকস ২/১৩ ) ও দ্বিতীয় ইনিংস: ২৯৬ (ইমরুল ৭৮, মাহমুদউল্লাহ ৪৭, সাকিব ৪১, তামিম ৪০, শুভাগত ২৫*; রশিদ ৪/৫২, স্টোকস ৩/৫২, আনসারি ২/৭৬, মঈন ১/৬০)।ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস : ২৪৪ (রুট ৫৬, ওকস ৪৬, রশিদ ৪৪*; মিরাজ ৬/৮২, তাইজুল ৩/৬৫, সাকিব ১/৪১)ও দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ১৭৩) ১৬৪ (কুক ৫৯, ডাকেট ৫৬, স্টোকস ২৫; মিরাজ ৬/৭৭, সাকিব ৪/৪৯)।ফল: বাংলাদেশ ১০৮ রানে জয়ী।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মেহেদী হাসান মিরাজ।