মাহাবুবুর রহমান.কক্সবাজার
সারা দেশে ন্যায় কক্সবাজারেও ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ ( সিটিবি) পন্যর বরাদ্দআছে তবুও কক্সবাজারে মিলছে না ন্যায্য মুল্যের সিটিবি পন্য। সরকারি দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তি আগ্রহ না থাকায় কক্সবাজারে সিটিবির পন্য আসছে না। আর ঠিকাদররা বলছে সরকার কতৃক সরবরাহ করা পন্যর গুনগতমান খুবই নিম্ন এবং মাল দিচ্ছে খুবই কম তাই লোকসান হওয়ার ভয়ে কেউ মাল আনছে না। বর্তমানে একটি লাইসেন্সে সাড়ে ১১শত কেজী মাল দিচ্ছে তাও চট্টগ্রাম থেকে আনতে হবে সেটা যতি অন্তত ৪ হাজার কেজী হতো তাহলে কিছুটা পোষাত। তবুও ১৮ জুন পর্যন্ত সময় আছে এর মধ্যে টিসিবির পন্য আনতে পারি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে সারা দেশে প্রবিত্র রমজান মাসে কিছু পন্য সাধারণ মানুষের মাঝে ন্যায্য মূল্যে সরবরাহ করতে সরকার বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে উদ্দ্যেগ গ্রহন করেছে এরিধারাবাহিকতায় কক্সবাজারেও টিসিবির পন্য বরাদ্ব আছে তবে এখানে ঠিকাদাররা বেশি লাভ করতে পারবে না বলে তারা মাল আনছে না। এবং সাধারণ মানুষও ন্যায্য মুল্যে পণ্য কিনতে পারছে না। জানা গেছে চট্ট্রগাম অফিস থেকে কক্সবাজারের প্রতিজন ঠিকাদারের জন্য সাড়ে ১১ শত কেজী করে মালামাল বরাদ্ব আছে এর মধ্যে তেল ৩০০ লিটার, চিনি ৩০০ কেজী, ছোলা ৩০০ কেজী এবং মসুর ডাল ২৫০ কেজী আর সরকারি ভাবে বিক্রয় মুল্য ঠিক করা হয়েছে সম্ভবত তেল ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, এবং মসুর ডাল ৮০ টাকা কেজী দরে বিক্রি করার কথা। এতে অনেক সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও উপকার পেত।
এ ব্যপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এন.এম ট্রেডার্সের তত্বাধিকারী আবদুর রহিম জানান এটা সত্যযে কক্সবাজারের জন্য বরাদ্ব আছে তবে বাস্তবতাভিন্ন সরকারি রেইটএর ৫% কমেআমাদের পণ্য দেয় এবার চট্ট্রগাম থেকে সাড়ে ১১শত কেজী আনতে পরিবহণ খরচ কত টাকা পড়বে আর সে মাল বিক্রি করে ক টাকা থাকবে। এর মধ্যে পণ্যের গুনাগুন তেমন ভাল না স ছেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা চিনির সরকারি টিসিবির মাধ্যমে যে চিনি দেয় সেটা দেশীয় চিনি একচু লালচে যা আমাদের স্থানীয় মানুষ খেতে চায় না,তাহলে আমরা এই চিনি কোথায় নিয়ে যাব কার কাছে বিক্রি করবো ? তাই পণ্য আনতে ঠিকাদাররা আগ্রহী হচ্ছে না। যদি সাড়ে ১১ শত কেজীর বদলে একটি লাইসেন্স প্রতি অন্তত ৪ হাজার কেজী মালামাল দেওয়া হতো তা হলে কিছুটা পোষাত, তবুও ১৮ জুন পর্যন্ত সময় আছে দেখা যাক আমরা এর মধ্যে কয়েকজন মিলে যদি আনতে পারি তাহলে সবাই পাবে।
এদিকে বাংলাবাজার এলাকার ঠিকাদার আবুদল কাদের বলেন ৫% কমে চট্টগ্রাম থেকে মাল কিনে সেটা পরিবহণ খরচ দিয়ে কক্সবাজার এনে, ট্রাকভাড়া দিয়ে, কর্মচারী খচর দিয়ে কিভাবে পোষাব তাই টিসিবির পন্য কেউ আনতে রাজি হচ্ছে না। তাছাড়া একজনকে ৩০০ কেজী তেল দিলে ৫০ থেকে ৬০ জনই সেই তেল দিয়ে যাবে আর ছোলাও ৩০০ কেজী তাও ৫০ পরিবারেই নিয়ে যাবে তাহলে সরকার যে উদ্দ্যেশ্যে ন্যায্য মুল্যে বাজারে টিসিবির পন্য দিচ্ছে সেই উদ্দ্যেশ্য থাকছে বাজারে এর কোন প্রভাবউ পড়বে না। আমার মতে সেটা যদি ১০০০ কেজী করে দেওয়া যেত তাহলে সাধারণ মানুষ কিনে নিতে পারলে বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়তো। আমার মতে উর্ধতন মহলের এটি নিয়ে সিন্ধাবন্ত সঠিক হয় নি।
এদিকে কক্সবাজার শহরের বড় বাজার এলাকার ব্যবসায়ি জসিম উদ্দিন বলেন টিসিবির পন্য সবাই পাবে সেটা কোন কথা নেই দৈনিক কিছু মানুষ যদি বাজারের ছেয়ে কিছুটা কম দামে পণ্য পায় সেটা কম কি, আমার মতে বাজারে টিসিবির পণ্য না থাকার কারনে রোজার বিশেষ চাহিদার পণ্য আরো দাম বাড়ছে এবং মানুষকে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে।
এ ব্যপারে একই মত দেন কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তাক আহাম্মদ তিনি বলেন টিসিবির পন্য বাজারে থাকলে একজন মানুষ হলেও উপকৃত হতো। এবং বাজারে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়তো।এ ব্যপারে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কাজী মোঃ আবদু রহমান বলেন আমার জানা মতে এ বিষয়ে একবার সভায় আলোচন হয়েছিল ঠিকাদাররা তাদের কিছু দাবী দাওয়ার কথা বলেছিল, এর পরের বিষয় জেনে দেখতে হবে। তবে টিসিবির পন্য বাজারে রাখাতে পারলে সবার জন্য ভাল হতো।