মাহাবুবুর রহমান,কক্সবাজার
বন্ধ হয়ে গেছে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের করনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)র কার্যক্রম। জেলার সদর হাসপাতালের অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ন এই সেবা কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশ একই সাথে আতংকিত হয়ে পড়েছে বেশির ভাড় সাধারণ মানুষ। কারন হৃদরোগে আক্রান্তদের দ্রুত এবং আধুনিক চিকিৎসার জন্য এই সেবা কেন্দ্রটি টি ছিল আর্শিবাদ সুরপ। অনেকে ইতি মধ্যে এই সি সি ইউ র সেবা নিয়ে সুস্থ হয়েছে একই সাথে বিপুল আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন। সদর হাসপাতালে কতৃপক্ষ বলছে বিদেশি সহায়তায় এতদিন ডাক্তার নার্সরা কাজ করতো তারা সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ায় ডাক্তার নার্স না থাকায় সি সি ইউ বন্ধ আছে।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালেয় ৪র্থ তলায় গিয়ে সিসিইউর খবর নিতে গিয়ে নাম প্রকাশ না করার সর্তে একজন নার্স বলেন,সিসিইউর কার্যক্রম এখন বন্ধ আছে তবে আইসিইউর কার্যক্রম চালু আছে। তার কখা সূত্র ধরে ভেতরে গিয়ে দেখা গেছে আধুনীক সুসঞ্জিত ১০ বেডের এই সিসিইউর যাবতিয় যন্ত্রপাতী চালু থাকলেও ডাক্তার এবং নার্স না থাকায় সিসিইউর কার্যক্রম বন্ধ আছে। মূলত মাস খানেক আগে থেকে আস্তে আস্তে এই কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলেও ২৮ ফেব্রুয়ারী থেকে সম্পূর্ন ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে কোন রোগি এখানে ভর্তি করানো হচ্ছেনা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সৌদি সরকারের আর্থিক সহায়তায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ১০ বেডের এই সিসিইউ কার্যক্রম চালু করা হয়ে যা দেশের প্রথম জেলা পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালে সিসিইউর কার্যক্রম ছিল। যেটা উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ও স্থানীয় সংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল।
শুরু থেকেই এই সিসিইউ জেলাবাসীর জন্য আর্শিবাদ সরুপ কাজ করে আসছিল। কিন্তু উদ্বোধনের মাত্র ৬ মাসের মধ্যে আবারো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম হতাশ ও আতংকিত হয়ে পড়েছে অনেকে। আলাপ কালে খুরুশকুলের মোহাম্মদ সেলিম বলেণ,আমার পিতা গত বছরের ডিসেম্বর মাসের দিকে হঠাৎ করে স্ট্রোক করে প্রায় মৃত্যু পথযাত্রী হয়ে পড়েছিল কিন্তু আল্লাহর রহমতে সেদিন রাত ১ টায় জেলা সদর হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করালে উনারা তাৎক্ষনিক খুব ভাল চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করে তুলে। আমরা সবাই নামাজ পড়ে দোয়া করেছিলাম সে দিন। কারন এত আধুনীক উন্নত চিকিৎসা এখানে পেয়েছি সেটা কল্পনাও করা যাবে না। কিন্তু এখন শুনছি সেই সিসিইউ বন্ধ হয়ে এটা আমাদের জন্য খুবই খারাপ খবর।
শহরের পাহাড়তলী এলাকার মোহাম্মদ রফিক বলেন,আমার মা খুবই অসুস্থ এর মধ্যে বেশ কয়েক বার হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলাম এর মধ্যে ১ বার সিসিইউতে রাখা হয়েছিল। আমার মা এখনো খুব অসুস্থ এর মধ্যে শুনতে পাচ্ছি আমাদের একমাত্র ভরসা সেই সিসিইউ নাকি বন্ধ হয়ে গেছে,এতে আমরা খুবই হতাশ এবং আতংকিত।
এ ব্যপারে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ শাহীন আবদুর রহমান বলেণ,মূলত এনজিও বা বিদেশীদের সহায়তায় এই সিসিইউ চালু ছিল। সেখানে কর্মরত ডাক্তার নার্সদের বেতন ভাতা উনারা দিত কিন্তু এখন সেই দাতা সংস্থা আর অর্থ না দেয়ায় সিসিইউতে ডাক্তার নার্স পাওয়া যাচ্ছে না। আমরাএখন চেস্টা করছি অন্যকোন এনজিওর মাধ্যমে আবারো চালু রাখা। সে জন্য স্বরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসণ কমিশনার মহোদয়ের সাথে আলাপ চলছে।
এ ব্যপারে জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ সোলতান আহাম্মদ সিরাজী বলেন,সিসিইউ চালু রাখার জন্য সরকারি ভাবে ডাক্তার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে একই সাথে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার সাথেও কথা চলছে আশা করি একটি ব্যবস্থা হয়ে যাবে।