অনলাইন ডেস্ক : বন্ধ করে দেয় হতে পারে আরও ৬টি মেডিকেল কলেজ। বেসরকারি পর্যায়ের এসব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পরিদর্শনের আগে কর্তৃপক্ষ রোগী ভাড়া করে নিয়ে আসে। এগুলোতে কিছু মেডিকেলে চিকিৎসক ও শিক্ষকও রয়েছে ভাড়াটিয়া হিসেবে। এসব মেডিকেল কলেজকে চিহ্নিত করে বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে গঠিত প্লাটফর্ম হেলদি বাংলাদেশ- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদষ্টো ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে আজ শনিবার বিকালে এলজিইডি ভবন মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির, জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের প্রাক্তন পরিচালক ডা. জাফরউল্লাহ প্রমুখ। ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো মেডিকেল কলেজ হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে। মেডিকেল কলেজগুলোতে পরীক্ষায় কোডিং সিস্টেম প্রবর্তনের ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর ৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা হয়েছে। এ ধরনের মোট ১০টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে চারটি বন্ধ করা হয়েছে অন্যগুলোকে সতর্ক করে দেয়ার জন্য। আরও ছয়টিও বন্ধ করে দেয়া হবে। তিনি বলেন, এসব মেডিকেল কলেজে আমাদের পর্যবেক্ষক টিম পরিদর্শনের আগে রোগী ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়। আসলে তাদের কোনো অবকাঠামো নেই। বারবার বলার পরেও এসব মেডিকেলের কর্তৃপক্ষ শুধরাচ্ছে না।
উদাহরণ হিসেবে মোহাম্মদ নাসিম জানান, জাতীয় অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামের সন্তানেরা চট্টগ্রামে ইউএইচটিসি নামে একটি মেডিকেল কলেজ চালাচ্ছেন। কিন্তু সেখানে অনিয়মে ভরা। অনিয়ম দূর করতে চাইলেই তারা বিভিন্নজনকে দিয়ে তদবির করায়। কিন্তু নিজেদের শুধরাতে চান না। তিনি বলেন, একজন সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ারের মেডিকেল কলেজ আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। সাভারের সেই মেডিকেল কলেজে বিদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এসেও বিপদে পড়েছিলেন।