অনলাইন ডেস্ক : বগুড়ার শান্তাহারের মেয়ে তাবজিলা মৌ। বয়স ৩৬ বছর। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১টার দিকে মাকে ফোনে জানান, তার অফিসে আগুন লেগেছে। এরপর থেকেই মৌয়ের মুঠোফোনটি বন্ধ।
বনানীতে আগুন লাগা এফ আর টাওয়ার ভবনের নিচে দাঁড়িয়ে বোন মৌকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন ছোট ভাই ও দুলাভাই। কিন্তু এখনো মৌয়ের কোনো খোঁজ মেলেনি। আহতরা যে সব হাসপাতালে ভর্তি, সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছে মৌয়ের স্বজনরা। কোথাও তাকে না পেয়ে আবার ফিরে এসেছেন আগুন লাগা এফ আর টাওয়ারের সামনে।
নিখোঁজ মৌয়ের দুলাভাই মো. রানা এসব কথা জানিয়েছেন।
মো. রানা বলেন, ‘এই ভবনের ১০ তলায় হেরিটেক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করত মৌ। এখনো তার কোনো সন্ধান মেলেনি। শেষ ভরসা মৌয়ের লাশ। রাত ৮টা পর্যন্ত তাও মেলেনি।’
আগুন লাগা এফ আর টাওয়ারের গেটের নিচে ভাতিজি অনিকার খোঁজে ছুটে বেড়াচ্ছেন চাচা আবু জাফর। তার ভাতিজিও এই ভবনে কাজ করত। দুপুরের পর থেকে তিনিও নিখোঁজ। এমন অনেক ব্যক্তির স্বজনেরাই খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাদের আপনজনদের।
ফায়ার সার্ভিসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ভেতরে আরও কয়েকজনের লাশ পড়ে আছে। তবে কতজন, তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। যারা পড়ে আছে তারা মৃত।’
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭ টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন ভেতরে আমাদের সার্চিং অপারেশন চলছে।’
এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন।