বঙ্গবন্ধুর করা আইন বাস্তবায়ন করলেই ভেজাল খাদ্য থাকবে না

নিজস্বপ্রতিবেদক:  নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক হোসাইন মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, মানুষের নৈতিকতা নিচে নেমে গেছে, এ জন্য খাদ্যে ভেজাল মেশায়। ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রেতাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসলে সেই প্রবণতা কমে আসবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খাদ্য নিরাপত্তায় যে আইন করেছিলেন, তা ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে ও তার করা আইন বাস্তবায়ন করলেই ভেজাল খাদ্য থাকবে না।

বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার সংঘ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে নিরাপদ খাদ্য’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

নিরাপদ খাদ্যের জন্য রান্না ঘর থেকেই আন্দোলনের সূচনা করতে হবে মন্তব্য করে একাত্তর টিভির এমডি মোজাম্মেল বাবু বলেন, উন্নত বিশ্বের তালিকার যে স্বপ্ন আমরা দেখছি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত না হলে সে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিশিষ্ট কলাম লেখক ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফণিদ্র সরকার। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানুষ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। ভেজাল খাদ্য মানুষের শরীরে নানা রোগের সৃষ্টি করে এ কথা আমরা সকলে জানি। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ক্যামিকেল যুক্ত খাদ্য দ্রব্য স্বাস্থ্যকে ধ্বংস করে। তারপরেও ঐসব খাদ্য গ্রহণ করতে আমরা বাধ্য হচ্ছি।

মূল বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, সব মরণব্যাধী রোগের ঔষুধ আবিষ্কার হয়েছে। ফলে ভেজাল খাদ্যগ্রহণ করেও মৃত্যুর হার কমেছে। তবে এটা সুস্থ সুন্দর জীবন যাপনের জন্য যথেষ্ট নয়। ঔষুধ কম খেয়ে নিরাপদ খাদ্যগ্রহণ করে কিভাবে ভালো থাকা যায় সে পথ খুঁজে বের করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করণে প্রশাসনকে সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। পাশাপশি আমাদের জনসেচতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

সূচনা বক্তব্যে বিমল সরকার  বলেন, ব্যবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল মেশান অধিক মুনাফার লোভে, অন্যদিকে ক্রেতাদের আকর্ষণ থাকে টাটকা জিনিসের দিকে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতেই ব্যবসায়ীরা এগুলো করে থাকে।
সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের সভাপতিত্বে ও দিলীপ কুমার মন্ডলের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম এ মালেক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র টেকনিক্যাল কর্মকর্তা ফেকুলাল ঘোষ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মফিজ উদ্দিন আহমেদ, মানবকণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদ আনোয়ার প্রেসিডিয়াস সদস্য নুরুর রহমান সেলিম ,  অভিনেতা ফায়সল আহম্মেদ সহ প্রমুখ। ।