আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শেষ পর্যন্ত গণভোটে প্রত্যাখ্যাত হলো কলম্বিয়া ও ফার্ক বিদ্রোহীদের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত শান্তিচুক্তি। রোববার অনুষ্ঠিত গণভোটে ৫০ দশমিক ২৪ শতাংশ কলম্বিয়ান শান্তিচুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। খুবই নগণ্য হলেও ‘না ভোট’ জয়ী হওয়ায় শান্তিচুক্তির পথ আপাতত রুদ্ধ হলে গেল। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। সরকার ও ফার্ক বিদ্রোহীদের মধ্যে চার বছর সমঝোতা চেষ্টার পর গত সপ্তাহে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস ও ফার্ক নেতা তিমোলেয়ন জিমেনেজ শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তবে এটি কার্যকর হওয়ার জন্য কলম্বিয়ার নাগরিকদের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। যে কারণে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু গণভোটে জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করলেন। গণভোটের ফল প্রকাশের পর প্রেসিডেন্ট সান্তোস এক ভাষণে জানান, তিনি ফল মেনে নিচ্ছেন। তবে শান্তি অর্জনের জন্য কাজ করে যাবেন তিনি। প্রেসিডেন্ট সান্তোস জানান, ফার্কের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি বহাল থাকবে। কিউবায় গিয়ে ফার্ক নেতাদের সঙ্গে পরের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য সমঝোতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি হাল ছাড়ব না। আমার মেয়াদের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি শান্তি অন্বেষণ করে যাব। কারণ এ পথেই আমাদের শিশুদের জন্য একটি সুন্দর দেশ রেখে যেতে পারব।’এদিকে, ফার্ক নেতা তিমোলেয়ন জিমেনেজ (তিমোচেঙ্গো নামে পরিচিত) জানিয়েছেন, ফার্ক বিদ্রোহী গ্রুপ যুদ্ধ সমাপ্তির প্রতিশ্রুতি বজায় রাখবে। এর আগে বিদ্রোহীরা সরকারের কাছে অস্ত্র সমর্পণে সম্মত হন। এর মধ্যে মূলত ৫২ বছরের দীর্ঘ যুদ্ধ শেষ হয়। অস্ত্র ফেলে মূলধারার রাজনীতিতে আসতে চায় বিদ্রোহীরা। শান্তিচুক্তিতে কলম্বিয়ার জনগণ রায় দিলে দেশটি আরো স্থিতিশীল হতো বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফার্ক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। সমালোচকেরা বলছেন, কলম্বিয়া সরকার তাদের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে, সেখানে অনেক উদারতা দেখানো হয়েছে। রোববার গণভোটে অংশ নেন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ভোটার। এর মধ্যে শান্তিচুক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৯ দশমিক ৮০ শতাংশ। আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ। মাত্র শূন্য দশমিক ২০ শতাংশের সমর্থন না পেয়ে ভেস্তে গেল দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত শান্তিচুক্তি।
ফার্ক-কলম্বিয়া শান্তিচুক্তি গণভোটে প্রত্যাখ্যান
October 3, 2016