‘প্রাথমিক শিক্ষাকে সাধারণ মানুষের মাঝে আরো ব্যাপক আকারে গ্রহন যোগ্য করতে হবে’

মাহাবুবুর রহমান,কক্সবাজারপ্রতিনিধি
বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন বাংলাদেশ এখন সব কিছুতে এগিয়ে গেছে, কিন্তু এখনো প্রাথমিক শিক্ষাকে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যপক আকারে গ্রহনযোগ্য করা যায় নি। এটি আমাদের বড় ব্যার্থতা। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে তাই সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে।

বিশেষ করে শিক্ষকদের শ্রেনী কক্ষে বেশি মনোযাগ দিতে হবে। এবং শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তান মনে করে সর্বোচ্চ ভাল শিক্ষাটি দিতে হবে। তিনি বলেন প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে একজন মানুষের শিক্ষার বুনিয়াদ,তাই প্রাথমিক শিক্ষা যার যত ভাল হবে সেই ব্যাক্তি জীবনে তত সফলতা পাবে এবং পেয়ে আসছে। এ জন্য সবাইকে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে এক সাথে আন্তরিকতার

সাথে কাজ করার জন্য আহবান জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি ২৫ এপ্রিল ১২ টায় কক্সবাজার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত মত বিনিয়ম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কক্সবাজার বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আরো বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।

তিনি বেঁচে থাকলে এই দেশ এখন উন্নত বিশ্বের সাথে সমানতালে চলতো। কিন্তু একটি দেশদ্রোহী পক্ষ সেটা হতে দেয় নি। সময়ের বিবর্তনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই আবার বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে মাথা তুলে দাড়িয়েছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সব দিকে সফল একটি রাষ্ট্র এখন আমরা অনেক দেশের জন্য অনুকরনিয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধরু হাতে শিক্ষকরা সম্মান পেয়েছিল সব স্কুল জাতীয় করণের মধ্য দিয়ে, আবার ৪৫ বছর পর উনার মেয়ে এক সাথে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয় করণ করে শিক্ষকদের মর্যাদার সাথে জীবন যাপনের সুযোগ করে দিয়েছে।

তাই এখন শিক্ষকদের উচিত দেশের জন্য কাজ করা। শ্রেনী কক্ষের দায়িত্বকে মুক্তিযুদ্বের মত মনেকরে কাজ করার আহবান জানান তিনি। মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড, সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের

নির্বাহী প্রকৌশলী শাহেদুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও উন্নয়ন সাইফুল ইসলাম মজুমদার, কক্সবাজারের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওসমান গনি। এতে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ খুরশিদ আলম চৌধুরী, ইউআরসি প্রশিক্ষক টেকনাফ মো ঃ ইলিয়াছ, কক্সবাজার

খুরুশকুল সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাবের, জোয়ারিয়া নালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজুরল ইসলাম, হ্নীলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এরশাদুর রহমান, মহেশখালী ঘটিভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দুল আলম, পেকুয়া বারাবাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন, কুতুবদিয়া তাবালরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির উদ্দিন। এতে কক্সবাজারের বেশির ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।