প্রস্তুতি ম্যাচে হেরে গেলো বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতিটা ভালো হলো না মাশরাফি-সাকিবদের। নিজেদের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড একাদশের কাছে ৩ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
তবে হারলেও  নিউজিল্যান্ডে পৌঁছানোর ৭২ ঘন্টা পর প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামা  টাইগারদের প্রাপ্তিও অনেক। ব্যাট হাতে সৌম্যের রানে ফেরা, ছয় মাস পর মোস্তাফিজের মাঠে নামা, মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকদের ধারাবাহিকতা। আর বল হাতে সাফল্য পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান। উইকেট না পেলেও ভালো বোলিং করেছেন রুবেল হোসেন-তাসকিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে নেমে আসে ৪৩ ওভারে। আর ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তামিম ইকবালকে (১) হারিয়ে হোঁচট খায় টাইগাররা। এরপর ফর্মে থাকা ইমরুল কায়েসের সঙ্গে জুটি বাঁধে অফ ফর্মে থাকা সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ৪০ রানে সৌম্য আর ৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল।
এরপর দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ-সাকিব। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। আর ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলা মাহমুদউল্লাহ  ৪৬ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ৪৩ রান করে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন। এছাড়া ছন্দে থাকা মুশফিক  দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ বলে ৪৫ রান করেন। আর শেষ দিকে মাশরাফির ২১ রান করলে ২৪৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাট ক্রতে নেমে শুরুতেই মোস্তাফিজের শিকার হয়ে ফিরে যেতে হয় ওপেনার রায়ান ডাফি। আরেক ওপেনার স্মিথ ও তিন নম্বরে নামা ব্যাটসম্যান পাপলি মিলে দারুন জুটি গড়লেও সাকিব আল হাসানের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। সাজঘরে ফেরার আগে স্মিথ ৫০ ও পাপলি করেন ৪৫ রান।
মোস্তাফিজের ওভারে মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যান কেন ম্যাকলার রান আউট হয়ে ফিরে গেলে সাকিব আবারো আঘাত হেনে ফেরান অধিনায়ক কোল ম্যাকোনহিকে। মাহমুদউল্লাহ নিজের করা প্রথম ওভারে এসেই ফেরানা আরেক কিউই ব্যাটসম্যান এস হিকসকে। ইনিংসের ৩৭ ওভারে নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান মোস্তাফিজ। ফেরান ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা শিপলেকে। ১৯ বলে ২৪ রান করে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা শিপল।
তবে হর্নের সঙ্গে ব্রেট হ্যাম্পটনের দারুণ জুটিতে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড একাদশ। ৫৩ বলে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন হর্ন। ২১ বলে অপরাজিত ২৯ রানের আরেকটি কার্যকর ইনিংস খেলেন নয় নম্বর ব্যাটসম্যান হ্যাম্পটন।  সাকিব ৪১ রানে নেন ৩ আর মোস্তাফিজ ৩৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।