একাত্তরলাইভডেস্ক: রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে বিএনপি জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা জানান।
বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট- এই জোটের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াবাদুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রিজভী আহমেদ বলেন, এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই। আর জনগণের কাছে স্পষ্ট যে, বেগম জিয়াই বিএনপি ও জনগণের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গণভবনে আওয়ামী লীগের প্রায় সাড়ে চার হাজার প্রার্থী সাক্ষাৎকার ও সেখানে সম্মিলিত হওয়ার দলীয় সভার আয়োজন করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। অথচ এরকম একটি রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ও সরকারি অর্থায়নে সম্পূর্ণরূপে নিয়মবহির্ভূত দলীয় কার্যক্রমের বিষয়ে নিশ্চুপ নির্বাচন কমিশন। এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার টু-শব্দটিও করেন না। গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নির্বাচনী আচরণবিধির ১৪ (২) ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর অস্ত্র জমা দেয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা দেয়নি নির্বাচন কমিশন উল্লেখ করে রিজভী আহমেদ বলেন, বিগত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের হাতে প্রচুর পরিমাণ বৈধ-অবৈধ অস্ত্র দেয়া হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও বৈধ অস্ত্র জমাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি হলেও নির্বাচন কমিশন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। এতে প্রমাণিত হয় নির্বাচন কমিশন বিশেষ দলের পক্ষেই নির্বাচনী মাঠ সমতল করছে।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কমিশনের তৎপরতা আইনানুগ নয়। কমিশন স্ববিরোধী বক্তব্য রাখছে। গতকাল বুধবার কমিশন বলেছে যে, নয়াপল্টনে শোডাউন আচরণবিধির লঙ্ঘন নয়, তাহলে তফসিল ঘোষণার পর কোন সাহসে পুলিশ বিএনপির উচ্ছাসমুখর উপস্থিত নেতাকর্মীদের ওপর সহিংস আক্রমণ চালিয়েছে? এটা কার নির্দেশে এই পৈশাচিক আক্রমণ চালানো হয়েছে?