প্রক্সি দিয়ে জামিন নিতে এসে কারাগারে প্রতারক চক্রের হোতা

নারায়ণগঞ্জ  প্রতিনিধি :আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের হোতা আবদুস সালাম (৪০) নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এজাহারভ’ক্ত প্রধান আসামী সেজে প্রক্সি দিয়ে জামিন নিতে এসে ধরা পরার পর  কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে এমন ঘটনার পর ধামাচাপা দিতে আদালত প্রাঙ্গণের একটি দালাল চক্র আদাজল খেয়ে মাঠে নামার পর বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে পরলে প্রতারক আবদুস সালামকে কারাগরে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ আদালতে দায়িত্বরত কোর্ট ইন্সপেক্টর সোহেল আলম জানান, সদর উপজেলার আকবর নগরের সন্ত্রাসী চক্রের হোতা ছামেদ আলী ও তার বাহিনী নিয়ে বক্তাবলী এলাকার ইটের ভাটার চাঁদাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার হোসেন আলীর সাথে দ্বন্ধের জের ধরে মামলা দায়েরের পর এজাহার ভ’ক্ত ৫৩ জন আসামীর মধ্যে ৪৯ জন আসামী ইতিমধ্যেই জামিন নেয়।

আজ সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার প্রধান আসামী ছামেদ আলী, আবদুল গনি, আরিফ ও রাজ্জার আত্মসমর্পন করে। এ সময় কোর্ট দারোগা সাখাওয়াত প্রক্সি দিতে আসা আসামীকে কাঠগড়ায় দাড়িয়ে কাপতে দেখে সন্দেহ হলে তাকে চ্যালেঞ্চ করে ।

চ্যালেঞ্জের পর আসামী আবদুস সালাম নিজেকে ছামেদ আলী বলেই জোড়ালো ভাবে আদালতকে জানায় । এক পর্যায়ে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খানকে ডেকে আনার পর বিষয়টি ধরা পরে জামিন নিতে আসা ছামেদ আলী আসলে তিনি নন । তিনি এই মামলারই পূর্বেই জামিনপ্রাপ্ত ২২ নং এজাহারভ’ক্ত আসামী আবদুস সালাম।
আদালত থেকে কোর্ট হাজতে পাঠানোকাল প্রতিবেদককে প্রতারক আবদুস সালাম স্বজনদের উপস্থিতিতে জানায় দেশে বিদেশে এতো কিছু করে শেষ পর্যন্ত এখানে এসে ধরা খাইলাম। তাও আবার কিছু টাকার লোভে পরে। ইরান নামের এক দালাল এর আগে সকল আসামীদের কন্ট্রাক্ট করে জামিন করছিলো। এবারো কন্ট্রাক্ট করেছে বলে জানানোর পরই আমি আদালতে দাড়িয়ে কাপতে থাকায় আমি ধরা পইরা যাই।
মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত হয়ে এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে জানতে পেরে আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে জোর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এই মামলার প্রধান আসামী ছামেদ আলীর ছেলে আরিফের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ জেলার নারী নির্যাতনের মামলায় নিজে জামিন না নিয়ে শহিদুল্লাহ নামক এক যুবককে দিয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা পরলে তোলপাড়ের সৃস্টি হয়েছিলো ।

আর আবদুস সালাম মানব পাচারকারী হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত।প্রতারণার এমন ঘটনায় আর কোন প্রতারণা ও অন্য আসামীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করতো নানাভাবে দালাল চক্র অপতঃপড়তা চালিয়ে যাচ্ছে । যা স্বাীকার করে কোর্ট দারোগা সাখাওয়াত বলেন, দালালদের ধরতে আমরা আদালত চত্তর ও আশেপাশে ব্যাপক তৎপড়তা চালিয়ে যাচ্ছি ।