মাহাবুবুর রহমান,কক্সবাজার
কক্সবাজার প্রাইমারী টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর ভেতরে অংখ্য গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলা হয়েছে। কাটা যাওযা গাছের মধ্যে সবই বড় আকারের মহেগুনী এবং আকাশমনি গাছ। কার্যালয়ের ভেতরে বেশ কিছু অভ্যন্তরিণ রাস্তা নির্মান করারঅযুহাতে এসব বহু পুরানো গাছ কেটেছে বর্তমান সুপার। তবে তার অধনস্থ অনেকে গাছ না কাটেও উন্নয়ন করার পরিকল্পনা দিলে তাদের ধমক দিয়ে রাতারাতি গাছ কেটে তা বিক্রিওকরে দিয়েছেন সুপার।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছিকু কক্সবাজার পিটিআইএর বেশ কয়েক জন সিনিয়র সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা বলেন সম্প্রতী পিটিআইএর ভেতরে কিছু উন্নয়ন কর্মকান্ড হাতে নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার স্থানিয় সরকার প্রকৌশলী এলজিইডি এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মূলত ভেতরে অ্যভন্তরিন রাস্তা করার কথা বলে বর্তমান সুপার কামরুন্নাহার অন্তত ২৫ টি বড় আকারের মেহগুনি এবং আকাশ মনি গাছ কেটে ফেলেছে। যে গুলো কম করেহলেও ৩০ বছরের পুরানো গাছ ।
আমাদের অনেকের বাড়ি এখানে তিলতিল করে গড়ে তুলা এসব গাছ ভেতরের পরিবেশ কে সুশীতল রাখা ছাড়াও প্রকৃতিগত ভাবেও বেশ সুন্দর করেছে। কিন্তু সেসব গাছ কেটে ফেলায় মনেহয়েছে যেন আমাদের শরীর থেকে কেউ অঙ্গ কাটছে। আমরা সুপার কে বলেছিলাম রাস্তা করার জন্য গাছ গুলো রেখেও করা যেত, আর এসব রাস্তা দিয়ে যেহেতু গাড়ী বলবে না শুধু হাটা পথ তাই গাছ পাশে থাকলে সুবিধায় হবে।
তিনি এসব শুনে উল্টো আমাদের ধমক দিয়ে যে সব গাছ কাটার প্রযোজন নাই সে গুলোও কেটে ফেলেছে।এসব সব গাছ বিক্রিকরে দিয়েছে। আর আমরা যতটুকু জানি না মাত্র কিছু টাকা সরকারি খাতে জমা দেখিয়েছে।তাদের দাবী বর্তমান সুপার কক্সবাজারে আসার পর থেকে পিটিআইতে অনিয়ম দূর্নীতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
শুধু ৫ শ্রেনীর ছাত্রদের কোচিং করিয়ে তিনি মাসে ৫০/৬০ হাজার টাকা অবৈধ আয় করছে। কেউ কিছু বলেনা কারন সব নেতাদের ছেলে মেয়েদের তিনি বিশেষ ভাবে এখানে ভর্তিকরিয়েছে।সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে বেশ কিছু গাছ কাটা অবস্থায় পড়ে আছে আরো কিছু গাছ কাটার অপেক্ষায় আছে।এবং কয়েক জন শ্রমিক গাছ নিয়ে যাচ্ছে এ সময় শ্রমিক মহিউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে বলেন আমরা গাছ গুলো কিনেছি। সঠিক দাম না বলতে বলেছে, তার দাবী এ পর্যন্ত ২০/২৫ টি কাটা হয়েছে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে পিটিআই সুপার কামরুন্নাহার বলেন ভেতরে এলজিইডি কতৃক বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তাই গাছ কাটাতে হয়েছে। তবে গাছ কাটতে কোন কমিঠি বা কোন টেন্ডার দেওয়া হযেছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি সব উর্ধতন কতৃপক্ষ জানেন বলে জানান।
এ ব্যপারে সদর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন উর রশিদ বলেন পিটিআইতে গাছ কাটার বিষয়ে আমি জানিনা। আমাদের কোন অনুমতি নেওযা হয় নি। সরকারি প্রতিস্টান হয়ে তারা আইন মানছে না। তাদের বিরুদ্বে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যপারে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কাজী আবদুর রহমান বলেন পিটিআইতে গাছ কাটার সম্পর্কে আমার অবগত না। এত গুলো গাছ কাটছে কোন অনুমতি না নিয়ে এটা সঠিক করেনি। আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।