মাহাবুবুর রহমান: কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত বাকঁখালী নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। অব্যাহত ভাঙ্গনে ইতি মধ্যে বাংলাবাজার সুইস গেইট দিয়ে পিএমখালী ঘাটকুলিয়া পাড়া ছনখোলা, চান্দের পাড়া সহ আশপাশের গ্রামে যাতায়তকারী অর্ধ লাখ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ন ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে।স্থানিয় বাসিন্দাদের আশংকা ইতি মধ্যে ৮০% রাস্তা নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে তা যদি দ্রুত বন্ধ করা না হয় তা হলে আগামী বৃস্টিতেই সম্পূর্ন রাস্তা নদীতে চলে যাবে। আর কয়েক গ্রামের মানুষ সিমাহীন দূর্ভোগে পড়বে।
পিএমখালী ইউনিয়নের ঘাটকুলিয়া পাড়ার বাসিন্দা ছব্বির আহাম্মদ বলেন শহরের খুব পাশের ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও আমরা যুগ যুগ ধরে উন্নয়ন বি ত। বর্ষা আসলেই আমরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিতে হয় ভারী বৃস্টি হলেই আগে ভাগে পরিবারের ছোট এবং বয়স্কদের কক্সবাজার শহরের আত্বিয়ের বাড়িতে পাঠাতে হয়। কারন পানি বন্ধি থাকতে হয়। সম্প্রতী মড়ার উপর খাড়ার ঘা আমাদের একমাত্র চলাচলের রাস্তা বাংলাবাজার সুইস গেইট হয়ে ঘাটকুলিয়া পাড়ার আসার রাস্তাটি সম্পূর্ন রাস্তাটি ভেঙ্গে নদীতে চলে গেছে। কয়েকটি অংশে ভাঙ্গন খুব তীব্র আকার ধারন করেছে। রাস্তাটি ইটের তৈরি আমরা এমনিতেই অনেক কস্ট করে সন্ধ্যা হওয়ার আগেই চলে আমি কিন্তু এখন রাস্তা বিকল হয়ে পড়ায় খুবই বিপদে পড়েছে কয়েক টি গ্রামের অর্ধলক্ষ মানুষ। রাস্তাটি এতই অকেজু হয়ে পড়েছে একটি রিক্স বা সিএনজিও আসা যাওয়া করতে পারে না। আমরা আশংকা করছি সামনের বৃস্টিতেই বাকী রাস্তটিও নদীতে পড়ে যাবে। এর আগেই যদি কিছু করা যায় তাহলে আমাদের জন্য খুবই উপকার হবে।
ছনখোলা এলাকার মোহাম্মদ আলম বলেন আমরা ছনখোলা বাজার এলাকার অনেক মানুষ রাস্তা কম বা সময় বাচাঁনোর জন্য প্রায় সময় ঘাটকুলিয়া পাড়ার রাস্তা দিয়ে আসি এছাড়া চান্দু পাড়া থেকে অনেক মহিলা গ্রামের ভেতরের পথ দিয়ে আসে। কয়েক দির আগে এক ডেলিভারী রোগি নিয়ে যাওয়ার সময় ঐ রাস্তা যে ভাঙ্গা সেটা আমরা জানিনা পরে সিএনজি থেকে নেমে মহিলাকে অনেক কস্টে ভাঙ্গা অংশ পার করে সিএনজিও পার করে তারপর আবার যেতে হয়েছে। আমাদের অনেক লোকজন বলছে ঔ রাস্তার পাশেই পিএমখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি তিনি থাকতে মানুষ যদি রাস্তা নিয়ে কস্ট পায় তাহলে সেটা মেনে নেওয়া যায় না।
এ ব্যাপারে পিএমখালী ইউপি সদস্য মোঃ নুরুল হুদা বলেন আমার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল রাস্তাটি করে দেওয়ার। আমি সে বিষয়ে চেস্টা করছি। তবে সম্প্রতী নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে তাই আমরা খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েছি। আসলেই এই রাস্তা দিয়ে কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তা সেটা যদি এভাবে নদীতে চলে যায় তাতে কিছু করা খুব দরকার। তিনি বলেন উপজেলা পরিষদ বা সম্মানীত সংসদ সদস্য সাহেব দের বরাদ্ব থেকে যদি দ্রত কিছু একটা করা না যায় তাহলে খুব দ্রত প্রায় অর্ধ লাখ মানুষ মারাত্তক অসুবিধায় পড়বে। আর নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ করার জন্য স্থানিয় সরকার বা এলজিইডি বা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা যদি সরজমিনে এসে দেখে তাহলে এলাকার জনগন খুবই খুশি হবে। এবং আসা করছি একটা কিছু হবে।
এ ব্যাপারে পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার আবদুর রহিম বলেন রাস্তাটি বর্তমানে মারাত্তক ঝুকি পূর্ন অবস্থায় আছে। কয়েক দিনের মধ্যেই বেশ কিছু অংশ নদীতে চলে গেছে এখন রিক্সা বা সিএনজিও পার হতে পারে না। তবে খুব দ্রুত রাস্তাটি পিস ঢালাই দিয়ে কাজ করার তখা রয়েছে। যদি এভাবে নদী ভাঙ্গনের কবলে থাকে তাহলে রাস্তা পিস করার সাথে সাথেই নদীতে চলে যাবে। তাই আগে নদী ভাঙ্গন রোধ করা দরকার। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ঠ্য কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিএমখালী অংশে বাকঁখালী নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে
