আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘোষণা মতো পাকিস্তানকে ‘একঘরে’ করে ফেলেছে ভারত। ইসলামাবাদে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। এ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কা যোগ দিতে অপারগতা প্রকাশের পরই মূলত সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক জোট সার্কের সদস্যদেশ ৮টি। এর মধ্যে সম্মেলনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পাঁচটি দেশ- ভারত, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা। আর আয়োজক দেশ পাকিস্তান, সার্ক চেয়ার নেপাল ও মালদ্বীপ সম্মেলনে থাকতে চেয়েছিল। ভারত শাসিত কাশ্মীরের উরি সেনাঘাঁটিতে পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়। ভারত এ ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে তাদের সমুচিত জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেয়। পরে সন্ত্রাসের ‘পৃষ্ঠপোষক’ পাকিস্তানকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় ভারত। কথামতো পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বয়কটের ঘোষণা দেয় ভারত। এতে সমর্থন দেয় আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও ভুটান এবং শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা। সন্ত্রাস ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের কারণে এ দেশগুলো পাকিস্তানকে বয়কট করেছে। এ থেকে ভারত দাবি করছে, পাকিস্তান এখন একঘরে। ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেছেন, পাকিস্তান বুঝতে পেরেছে, এ অঞ্চলের চিন্তাভাবনা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। সার্কের আইন অনুযায়ী, একটি সদস্যদেশ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দিলে সে সম্মেলন হবে না। এক্ষেত্রে ভারতের পক্ষে সমর্থন রয়েছে আরো চারটি দেশের। যদিও নেপাল পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল, সম্মেলনের নতুন দিনক্ষণ ঘোষণা করতে, কিন্তু এখন তা আর সম্ভব নয়। সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে পাঁচ দেশের অংশ না নেওয়া পাকিস্তানের জন্য নিঃসন্দেহে লজ্জার। এদিকে চিরশত্রু পাকিস্তান ও ভারতের সীমান্ত এখন সামরিক উত্তেজনায় থরথর। ভারতীয় এক সেনাকে আটক করেছে পাকিস্তান। তাকে উদ্ধারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। এর আগে ভারতের অভিযানে পাকিস্তানের দুই সেনা নিহত হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় এখন একটিই প্রশ্ন ঘুরছে- কী হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে?
পাকিস্তান এখন ‘একঘরে’
October 1, 2016