পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারাচ্ছে

হাছিব সুমন পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিং এর কারনে পর্যটন কেন্দ্রের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন পর্যটকরা। এ কারনে ক্ষতির মুখে পরতে পারে এখানকার পর্যটন শিল্প। এবার এ সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কুয়াকাটার ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিরা। তবে সমস্যা সমাধানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।সড়ক যোগাযোগ ও নদী পারাপারে ফেরির ভোগান্তি না থাকায় বিগত বছরের থেকে এ বছর কুয়াকাটায় পর্যটকদের সমাগম অনেকটাই বেড়েছে। তবে গত কয়েক মাস ধরে অব্যাহত বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারনে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের বিরম্বনায় পরতে হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে আট ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচন্ড গরমে ভোগান্তি পোহাতে হয় পর্যটকদের। এসব কারনে পর্যটকরা কুয়াকাটার প্রতি যেমন আগ্রহ হারাচ্ছে, তেমনি হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পরছেন। প্রায়ই বিদ্যুত না থাকা আর লোভোল্টেজের কারনে এসি সহ ব্যবহারিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যায়। আবার পর্যটকরা বেশী টাকায় এসি রুম ভাড়া নিয়ে থাকলেও বিদ্যুত বিভ্রাটের কারনে তারা অল্প সময়েই কুয়াকাটা থেকে ফিরে যায়। অতিথী ধরে রাখতে জেনারেটর চালিয়ে ব্যায় বেড়ে যাচ্ছে, তাই লোকসানে মুখে পরতে হচ্ছে বলে জানালেন হোটেল মালিক ও ম্যানেজার। কুয়াকাটার পৌর মেয়র জানান, লোডশেডিং এর কারনে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের যেমনভোগান্তিতে পরতে হয় তেমনি ভি ভি আই পি অথিতীদের আথিতিয়তায়ও সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ কারনে দেশী বিদেশী পর্যটকদের কাছে শুধু পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা নয়, এর সাথে সাথে ক্ষুন্ন হচ্ছে পুরো দেশের ভাবমূর্তি। তাই সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এই জনপ্রতিনিধি।কুয়াকাটার গুরুত্ব বিবেচনা করে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান সমিতির জেনারেল ম্যানেজার। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কুয়াকাটাসহ ওই এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে বলেও মনে করেন তিনি।নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে কুয়াকাটার প্রতি আরও আকর্ষণ বাড়বে পর্যটকদের, প্রসারিত হবে ব্যবসা বানিজ্য এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।