একাত্তরলাইভ ডেস্ক :আগামী ১৮ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়াও বিকল্প হিসেবে ২০ ও ৩০ ডিসেম্বর ভোটের সম্ভাব্য তারিখ রয়েছে ইসির ভাবনায়। আগামী ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে তিনটি তারিখকে ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য দিন নির্ধারণ করে একটি প্রস্তাব দেওয়া হবে। রাষ্ট্রপতির পরামর্শক্রমেই ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত তারিখ ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন। তবে ১৮ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে আগামী ৪ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। ভাষণে তিনি তফসিল ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী এনে ভেটিংসাপেক্ষে গতকাল বুধবার তা আইন মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সংসদের চলতি অধিবেশনের তা পাশ হবে। যদিও আরপিও’র কোন কোন ধারায় কি কি সংশোধনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তা স্পষ্ট করে বলছে না।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, জাতির উদ্দেশে সিইসির ভাষণের জন্য কমিশন সচিবের দফতর থেকে একটি চিঠি বাংলাদেশ টেলিভিশনকে (বিটিভি) পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন জানিয়ে ৪ নভেম্বরের তারিখটি নির্ধারণ করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ওই ভাষণের মাধ্যমে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। ইসি ভবনে আগামী ৩ নভেম্বর এই ভাষণ রেকর্ডের সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হবে।