নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবীতে ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যুৎতের দুই কর্মচারীকে অবরুদ্ধ

শাহআলম শফি ,কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই উত্তরপাড়া গ্রামের কয়েকশত বিদ্যুতের গ্রাহক বিদ্যুৎ অফিসের দুই কর্মচারীকে প্রায় ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হয়ে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ দেবার আশ্বস্থ্য করলে এলাকাবাসী তাদের ছেড়ে দেয়। জানা যায়, উপজেলার সিদলাই ৫, ৬ ও ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের জনগন বেশ কিছুদিন যাবৎ বিদ্যুতের প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তারা গড়ে দৈনিক ৪ থেকে ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে।

রমজান মাসে ইফতার ও সেহরীর সময় তারা বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। বিদ্যুৎ না থাকার কারনে রোজাদারগণ প্রচন্ড গরমে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। একেতো বিদ্যুৎ থাকে না এরপর আবার বিদ্যুৎ বিলের তাগাদাসহ বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের কারনে লাইন বিচ্ছিন্ন করতে গেলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুই কর্মচারী শিমুল চন্দ্র ও আবু রায়হানকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় আটক করে একটি দোকানে বসিয়ে রেখে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় শত শত বিদ্যুতের গ্রাহক সেখানে উপস্থিত হয়ে বিদ্যুতের দাবীতে মিছিল করতে থাকে।

খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম দীপক কুমার সিংহ, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আনোয়ারুল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত গ্রাহকদের সাথে দীর্ঘক্ষন মতবিনিময় করে বিদ্যুৎ সেবার উন্নতির আশ্বাস প্রদান করলে উত্তেজিত গ্রাহকদের কবল থেকে দুপুর ১২টায় আটককৃত কর্মচারীদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়ায় নিয়ে আসে। ওই গ্রামের গ্রাহকরা দাবী করে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ ১নং ফিডারের আওতায় আনতে হবে।

উত্তেজিত গ্রাহকদের শান্ত করতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের সহযোগীতা করেন ওই এলাকার নোয়াব সর্দার, জাহাঙ্গীর সর্দার, সিরাজুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, মজিবুর রহমান, ডাঃ দেলোয়ার, রশীদ, বায়েজীদসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। এব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম এএইচএম আরিফুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে বলেন, রমজানে বিদ্যুৎতের চাহিদা অনেক বেড়েছে। বর্তমানে বারেশ্বর উপকেন্দ্র থেকে ১৮ মেগওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

বিদ্যুতের প্রয়োজন হচ্ছে ২২ মেগওয়াট। সে কারনে গ্রাহকদের সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। তবে বড়ধুশিয়ায় একটি নতুন উপকেন্দ্র স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। ঐ উপকেন্দ্রটি চালু হলে ব্রাহ্মণপাড়ায় তেমন কোন বিদ্যুতের সমস্যা থাকবে না। এছাড়া মাঝে মধ্যে ঝড়বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎতের লাইনের উপর গাছ পড়ে তার ছিড়ে গেলে তা মেরামত করতে কিছু সময় লেগে যায়। পল্লী বিদ্যুৎতের কর্মচারীরা দিন-রাত পরিশ্রম করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।