নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা : নিহত বেড়ে ৪৯

অনলাইন ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ। শুক্রবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য দেন।

বুশ বলেন, ডিন্স এভিনিউর আল নূর মসজিদে ৪১ জন এবং লিনউড এলাকার অন্য মসজিদে সাত জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজন মারা গেছেন।

এর আগে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন হামলায় ৪০ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিলেন। তখন তিনি আল নূর মসজিদে ৩০ এবং লিনউড মসজিদে ১০ জন নিহত হওয়ার তথ্য দেন।

হামলায় আহত অন্তত ৪৮ জন ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন আছেন বলে নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।

হাসপাতাল থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে খুব জরুরি না হলে লোকজনকে আহতদের দেখতে হাসপতালে না আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এরইমধ্যে দুই শতাধিক মানুষ হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছে।

মসজিদে হামলার এ ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ এবং ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী অ’ডুর্ন। তিনি বলেন, নিশ্চিত ভাবেই পরিকল্পনা করে এ হামলা চালানো হয়েছে।

হামলার পর শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী অ’ডুর্ন বলেন, এটা নিউ জিল্যান্ডের অন্ধকারতম দিনগুলোর একটি। এখানে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা পরিষ্কার ভাবেই অস্বাভাবিক এবং অপ্রত্যাশিত নৃশংসতা।

দুই মসজিদে হামলায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী বলে জানান পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ। গ্রেপ্তার ২০ বছরের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে বুশ বলেন, শনিবার তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

হামলায় জড়ি সন্দেহে আটক এক ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তিনি বলেন, সন্দেহভাজন হামলাকারী একজন চরম ডানপন্থি নৃশংস সন্ত্রাসী।

দুই মসজিদে হামলার পর ক্রাইস্টচার্চ কর্তৃপক্ষ নগরীর সব মসজিদ পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। নগরীর সব স্কুলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।